আওয়ামী লীগজাতীয়ঢাকাবাংলাদেশরাজধানীরাজনীতি

তাঁরা যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে,সবই তো আওয়ামী লীগের দেওয়া

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘উন্নয়ন নাকি চোখেই দেখে না। এখন চোখ থাকতে যদি কেউ অন্ধ হয়, তাকে তো কিছু দেখানো যায় না। কিন্তু তারা তো ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্যবহার করছে, মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। সবই তো আওয়ামী লীগের দেওয়া।’

যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ শুক্রবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি, বাংলাদেশের মানুষ আজ নতুন করে বাঁচার আশা দেখছে।’

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যাদের নেতৃত্বে বিএনপি চলে তারা কে? খালেদা জিয়া… জিয়া ট্রাস্ট, সেই টাকা, একটি টাকাও এতিমদের হাতে যায়নি। সেই অরফানেজের টাকা, যেটা বিদেশ থেকে এসেছিল এদেশের এতিমদের জন্য। সে (খালেদা জিয়া) একটা  চ্যারিটেবল ট্রাস্ট করেছিল এবং জিয়া অরফানেজ ফান্ড করেছিল, ট্রাস্ট করেছিল। এই দুইটার একটা পয়সাও না দিয়ে সমস্ত পয়সা তারা মেরে খায়। আর সেই কারণে খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত। তার ১০ বছর সাজা হয়েছে।সে হলো বিএনপির নেত্রী।’

তিনি বলেন, ‘তার পরিবর্তে যাকে দিয়ে সে তো আরও এক ধাপ ওপরে। আমরা দেখি বিএনপির অনেক নেতা মানিলল্ডারিংয়ের কথা বলে, লুটপাটের কথা বলে, দুর্নীতির কথা বলে।এখানে আমি আমাদের যুবলীগের নেতাকর্মীদের জানাতে চাই, আজকে তারেক জিয়া, তার শাস্তি হয়েছে মানি লন্ডারিং কেসে।

তার কেসে আমেরিকা থেকে এফবিআই-এর লোক এসে বাংলাদেশে সাক্ষী দিয়ে গেছে।তারেক জিয়ার শাস্তি হয়েছে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায়। মানিলন্ডারিংয়ের কেসে সাত বছর  সাজা, ২০ কোটি টাকা জরিমনা।আর গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত।১০ ট্রাক অস্ত্র চোরা কারবারি, তার জন্য সে সাজাপ্রাপ্ত।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে, সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছিল। এসেই যুবলীগের নেতা সেই মৌলভী সৈয়দ, আমাদের চট্টগ্রামের নেতা। বগুড়ার খসরু থেকে শুরু করে নারায়ণগগঞ্জের মুনির, ছাত্রলীগের মাহফুজ বাবুসহ… নির্মমভাবে হত্যা করেছে, লাশও পায়নি। জিয়া যেমন শত শত সেনা অফিসার, বিমানবাহিনী অফিসার হত্যা করেছে তাদের পরিবার লাশ পায়নি। ঠিক এদেরও লাশ আত্মীয়-স্বজন পায়নি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাদের নেতাই হচ্ছে খুন, মানিলন্ডারিং, অবৈধ অস্ত্র চোরা কারবারি মামলার আসামি। তাদের মুখে আওয়ামী লীগের সমালোচনা শোভা পায় না।এটা হলো বাস্তবতা।’আজ দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে পেইন্টিং উপহার দেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। এরপর যুবলীগের উত্তরীয় পরিয়ে দেন যুবলীগের মহিলা নেত্রীরা। পরে সুবর্ণজয়ন্তী লোগো উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর যুবলীগের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button