আইন-আদালতরাজধানী

ফারদিনের বান্ধবী বুশরা জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর আদেশ

আজ বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহ জামিন শুনানি শেষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ।

পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বুশরাকে এদিন আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের খিলগাঁও জোনাল টিমের পরিদর্শক মজিবুর রহমান। তিনি আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ আসামি বুশরাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। পরে বুশরার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত বুশরাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অন্যদিকে বুশরার পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বুশরার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর ঐ আদেশ দেন।

আদালতে বুশরার পক্ষে জামিন শুনানি করেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা মোখলেসুর রহমান বাদল, একেএম হাবিবুর রহমান চুন্নুসহ কয়েকজন আইনজীবী।

মামলার এজাহারে বলা হয় ৪ নভেম্বর বিকেল ৩টায় বুয়েটে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন ফারদিন। পরদিন ৫ নভেম্বর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরে দুপুরের খাবার খাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু পরে জানা যায়, ফারদিন পরীক্ষা দেননি। শিক্ষক ও বন্ধুরা বারবার তার মোবাইলে ফোন করে বন্ধ পান। ফারদিনের পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকার খবর পেয়ে ৫ নভেম্বর বিকেল থেকে পরিবারের সদস্যরাও ফারদিনকে ফোন করে মোবাইল বন্ধ পান। তখন তারা রামপুরা থানায় জিডি করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, ফারদিনের সর্বশেষ অবস্থান ছিল গাজীপুর। তার লাশ কীভাবে শীতলক্ষ্যায় গেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ঘটনার দিন ফারদিনকে বিভিন্ন লোকেশনে পাওয়া গেছে। দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

ফারদিন নূর বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বুয়েটের ড. এম এ রশীদ হলে সংযুক্ত থাকলেও হলে থাকতেন না। পরিবারের সঙ্গে ঢাকার কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button