আইন-আদালতএক্সক্লুসিভজাতীয়ঢাকাবাংলাদেশবিএনপিরাজধানীরাজনীতি

আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মির্জা ফখরুল

আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আদালত এলাকায় প্রচুর পুলিশ থাকে। এ অবস্থায় কীভাবে জঙ্গি উধাও হয়ে যায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা গুলি করে নয়নকে হত্যা করতে পারেন, শাওনকে হত্যা করতে পারেন আর আদালতে আপনাদের জঙ্গি উধাও হয়ে যায়! তখন আপনারা কিছুই করতে পারেন না। আমরা তো নিয়মিত আদালতে যাই। হাজিরা দিতে হয় আমাদের। আমরা তো দেখি চতুর্দিকে পুলিশ। সেখানে প্রবেশ এবং বাহির সবই নিয়ন্ত্রিত।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অগ্নি-সন্ত্রাস কথাটা খুব একটা হালে পানি পায়নি। এটা খুব বেশি নেয়নি মিডিয়া। যে কারণে সেটাতে জোর দিতে পারছে না। কিছুদিন হলো আবার শুরু করেছে জঙ্গি। অভিজিৎ মার্কিন নাগরিক। বিষয়টিকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। কীভাবে আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের খেলাখেলিতে লাভ হবে না বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

এ ঘটনায় জনগণের প্রশ্ন জেগেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে আবার সেই জঙ্গি নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে কি না। যাতে তারা আবার ক্ষমতায় টিকে থাকার আরও কিছু সময় পায়। আমরা বিশ্বাস করি এ রকম অশুভ চক্রান্ত থেকে সরকার সরে দাঁড়াবে।’আজ সোমবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিদ্যুতের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, কিছুদিন আগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন আবার আরও এক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের জীবনকে তারা (সরকার) দুঃসহ করে তুলছে।

বিদ্যুতের দাম যদি না কমানো হয়, তাহলে জনগণই তার প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, তারা সব সময় বলে জনগণের স্বার্থে কাজ করি। এ সরকার জনগণের বিপরীত জায়গায়, প্রতিপক্ষ হিসেবে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, তারা (সরকার) এমন দুর্নীতি করেছে যে প্রতিটি খাত, প্রতিটি মন্ত্রণালয়, প্রতিটি অধিদপ্তর এখন কোনোমতেই আর সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এখন আইএমএফের লোন পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে জনগণের ওপর নির্যাতন করা শুরু করেছে।

আগামী ১০ ডিসেম্বরের সম্মেলন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করার কৌশল হিসেবে ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তরে একটি মামলায় ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণে নবীউল্লাহ নবীসহ ২৪৫ জনের নামে তিনটি মামলা করা হয়েছে। ঢাকা জেলার সাভারে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুসহ ৩২ জনের নামে মামলা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির সমাবেশগুলো দেখে সরকার এত বেশি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে গেছে এখন তারা সব আইন রক্ষাকারী বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে দেশে একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, এই সমাবেশগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে হতে না পারে, জনসমাগম যাতে কম হয়, সে জন্য তারা গায়েবি মামলা দিচ্ছে। বিনা কারণে রাতে ও দিনের বেলায় গিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। গ্রেপ্তার করছে অথবা হয়রানি করছে।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button