পরিবার ও দাম্পত্যবাংলাদেশবিনোদন

ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকের ‘কাবিলা’খ্যাত পলাশের ব্যাচেলর জীবনের ইতি

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিক নাটকের ব্যাচেলর ‘কাবিলা’খ্যাত জিয়াউল হক পলাশের ব্যাচেলর জীবনের ইতি ঘটেছে। সম্প্রতি বিয়ে করেছেন তিনি। দূরসম্পর্কের খালাতো বোন নাফিসা রুম্মান মেহনাজের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তাঁর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।

মাস চারেক আগে নাফিসাদের মিরপুরের বাসায় দুই পরিবারের কাছের কয়েকজনের উপস্থিতিতে পলাশ ও নাফিসার বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম আলোকে পলাশের বিয়ের খবরটি আজ শুক্রবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকের পরিচালক কাজল আরেফিন অমি।

কাজল আরেফিন জানান, পলাশের স্ত্রী নাফিসা রুম্মান মেহনাজ ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এখন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। মা–বাবার পছন্দের পাশাপাশি পলাশ ও নাফিসা দুজন দুজনকে পছন্দ করেন।

গত বছরের নভেম্বরের দিকে পরিবারের কথায় নাফিসার সঙ্গে পরিচিত হন পলাশ। তখন জানতে পারেন, অভিনয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়ার অনেক আগে থেকে নাফিসা তাঁকে পছন্দ করতেন। পরিচয়ের মাস তিনেক পর পলাশ ও নাফিসার সখ্য বাড়তে থাকে। এরপর পরিবারের সম্মতিতে নাফিসাকে বিয়ে করেন তিনি।

কাজল আরেফিন বলেন, দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে মাস চারেক আগে পলাশের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। দুই পরিবারের সবাই চেয়েছিলেন, নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের। কিন্তু পলাশের একমাত্র দুলাভাই দেশের বাইরে থেকে আসতে পারেননি।

আবার এর মধ্যে তাঁরও ওয়েব সিরিজের শুটিংয়ের ব্যস্ততা। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এই মুহূর্তে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না। পরিবারের সবাই তাই ভাবল, আপাতত বিয়ের ব্যাপারটা জানাজানি হোক, তাহলে নবদম্পতিও নিজেদের মতো করে ঘোরাঘুরি করতে পারবেন। তাই এখন জানানো। পরে সুবিধাজনক সময় দেখে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করা হবে।

জিয়াউল হক পলাশ ২০১৩ সালে ছবিয়ালের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। দীর্ঘদিন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এরপর ইশতিয়াক আহমেদ রোমেলের সহকারী। ২০১৭ সালে কাজল আরেফিনের সঙ্গে সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। একটা সময় এই পরিচালকের আলোচিত নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ অভিনয় শুরু করেন।

বিয়ের বিষয়টি জানিয়ে পলাশ বললেন, ‘মা– বাবার পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে বিয়ে করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, দাম্পত্যজীবনে আমরা ভীষণ সুখে আছি৷ সবার কাছে দোয়া চাই, জীবনের বাকিটা সময় যেন পরস্পরের অপরিহার্য হয়ে একসঙ্গে থাকতে পারি।’

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button