কে এই লাস্যময়ী রাজকন্যা শেখা মেহরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম। এছাড়াও তার আরেকটি পরিচয় হল তিনি দুবাইয়ের শাসক। লাস্যময়ী শেখা মেহরা তার কন্যা। সম্প্রতি তিনি বিয়ে করেছেন। বর শেখ মানা বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ বিন মানা আল মাকতুম। শেখা মেহরা ও শেখ মানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ইনস্টাগ্রামে’ একটি অভিন্ন কবিতা পোস্ট করার মধ্য দিয়ে নিজেদের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুবাই রাজকন্যা শেখা মেহরা তার বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য বেশ পরিচিত। তিনি বরাবরই তার জীবনযাপন নিয়ে মানুষকে জানাতে পছন্দ করেন। তবে বিয়ের পর আবারও চর্চায় তিনি।

শেখা মেহরা সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে

রাজকন্যা শেখ মেহরা ১৯৯৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার উচ্চতা ৫.৭ ইঞ্চি। তিনি দুবাইয়ে জন্ম নিলেও খুব ছোটবেলা থেকে ইংল্যান্ডে লেখাপড়া করতেন। যে কারণে তার লাইফস্টাইলেও ছিল ভিন্নতা। শেখা মাহরা লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক হয়েছেন।

ইংল্যান্ড থেকে ফিরে এসে দুবাইয়ের বিখ্যাত জায়েদ ইউনিভার্সিটিতে বিজনেসে গ্র্যাজুয়েশন করেন। পরবর্তীতে শেখ মাহরা তার বাবার সাথে দুবাইয়ের উন্নয়নের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেন।

তিনি প্রাণীদের অনেক ভালোবাসেন। প্রায়ই ঘোড়ার সঙ্গে নিজের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। এছাড়াও, ঘোড়ার প্রতি তার বাবার ভালোবাসাও প্রায়ই প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়াও শেখ মাহরা ফ্যাশন সচেতন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে নতুন নতুন পোশাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।

ফ্যাশন শিল্পের প্রতি মাহরার ভালোবাসা বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান ফ্যাশন শিল্পের আঞ্চলিক ডিজাইনারদের তিনি ব্যাপক সমর্থন দেন।

শেখা মেহরা সর্বদা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরতে পছন্দ করেন। তিনি তার ফ্যাশন স্টাইল দিয়ে খুব সহজেই অন্যদের মুগ্ধ করতে পারেন। তিনি যখন পাবলিক ইভেন্টগুলোতে যোগ দেন তখন নানা প্যাটার্ন এবং রঙের পোশাক নিয়ে পরীক্ষা করতে পছন্দ করেন এবং মানুষ তার ডিজাইন, স্টাইল ও পোশাকের ভূয়সী প্রশংসা করে।

রাজকন্যা শেখা মেহরার জন্য রয়েছে বিশ্বের নামিদামি গাড়ি, তার জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশাল কমপ্লেক্স। দুবাইয়ের সব থেকে বিলাসবহুল বিল্ডিং প্রিন্সেস টাওয়ারের নিচে তলায় তার জন্য রয়েছে এক্সপ্রেশন কমপ্লেক্স।

রাজকন্যা শেখা মেহরা মানবিক কাজেও অনেক সময় ব্যয় করেন। সূত্র : খালিজ টাইমস

Exit mobile version