মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ডে ৫ হাজার টাকা করে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টুর বিরুদ্ধে এবার মাতৃত্বকালীন ভাতার প্রতি কার্ডের বিনিময়ে পাঁচ হাজার করে টাকা ঘুস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার এ ইউনিয়নে গত ১১ মাসে ৯৯ জন নারীকে মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু নিজে কার্ড দিয়েছেন ২৯ জনকে। আর এসব মায়েদের সবারই একই অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

ইউপির তুলশিতলা গ্রামের জামাল উদ্দিনের স্ত্রী সেলিনা বেগম বলেন, টাকা না দিলে ভাতার কার্ড হবে না বিধায় পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ভাতার কার্ড নিয়েছি।

কৈখালী গ্রামের রাজিবুল ইসলামের স্ত্রী সাবিনা খাতুন বলেন, টাকা দিয়ে কার্ড নিয়েছি। টাকা না দিলে কি ভাতার কার্ড হয়!

বালিনগর গ্রামের ওমর ফারুকের স্ত্রী জিনিয়া খাতুনও একই অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে এসেছেন তিনি।

তথ্য নিয়ে দেখা গেছে, প্রায় সবাই ভাতাভোগীদের একই অভিযোগ। টাকার বিনিময়ে নিয়েছেন মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড।

টাকা নেওয়ার ব্যাপারে ইউপি সদস্যরা বলেন, চেয়ারম্যানের সাইডম্যান হিসেবে কাজ করে কুল্লাহপাড়া গ্রামের মৃত আয়নালের ছেলে শুকুর আলী। সে চেয়ারম্যানের পক্ষে ভাতা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে বেশিরভাগ টাকা লেনদেন করেছে।

তবে শুকুর আলী ভাতার কার্ডের বিনিময়ে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন বলেন, অনলাইন খরচ ছাড়া অন্য কোনো খরচ নেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের খেয়ে-দেয়ে কাজ নেই। আপনাদের কাছে তথ্য থাকলে আপনারা লেখেন।

এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোরঞ্জন বলেন, ভাতার কার্ডে টাকা লেনদেনের কোনো সুযোগ নেই। নির্দেশনা অনুযায়ী ইউনিয়ন উদ্যোক্তার মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। তবে যদি চেয়ারম্যান টাকা নিয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ করেননি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

Exit mobile version