Bangla News

প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের শত্রু

বাংলা ম্যাগাজিন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রথম আলো পত্রিকা আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু ও দেশের মানুষের শত্রু।’

আজ (১০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে সংসদের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আনীত কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, একটি শিশুর মুখ দিয়ে মিথ্যা বলানো, ভাত-মাংসের স্বাধীনতা চাই। একটি সাত বছরের শিশুকে দিয়ে বলানো, তার হাতে দশটা টাকা তুলে দেওয়া এবং তার কথা রেকর্ড করে সেটি প্রচার করা স্বনামধন্য এক পত্রিকার নাম প্রথম আলো। কিন্তু বাস করে অন্ধকারে। প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু, প্রথম আলো দেশের মানুষের শত্রু।

তিনি বলেন, আমি এটা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলি যে, এরা এদেশে কখনো স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না। ২০০৭ সালে যখন ইমার্জেন্সি হয় তখন তারা উৎফুল্ল। দুটি পত্রিকা আদা-জল খেয়ে নেমে গেল। তার সঙ্গে আছে একজন সুদখোর (ড. মুহাম্মদ ইউনুস)।

জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার আনীত প্রস্তাব (সাধারণ) আজ সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা গত ৭ এপ্রিল প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী আনীত প্রস্তাবের ওপর আলোচনার জাতীয় সংসদের বিশেষ ও ২২তম অধিবেশনের শেষ দিনে আজ অংশ নেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ উন্নয়নের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছাতে সর্বক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র অব্যাহত থাকলে, উন্নয়ন টেকসই হয়। গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হলে, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। তাই সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মজবুত করতে হবে। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতে দেশের সকল দল, মতের ঐকমত্য প্রয়োজন।

বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের অপর নাম, শেখ মুজিবুর রহমান’ এটি একটি কঠিন সত্য, যে সত্য বার বার অন্ধকারকে ভেদ করে বাঙালির হৃদয়ে সূর্যালোক পৌঁছে দেয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উন্নয়নে বিপুল ত্যাগ স্বীকার করায় সংসদের অভ্যুদয় এবং জাতির অস্তিত্ব একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

দেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে উপনেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন এবং তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে কৃষি ও কৃষকের সাফল্য আজ দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে। যার কারণে হেনরী কিসিঞ্জাররা বাংলাদেশকে আর ‘বটম লেস বাস্কেট’ বলতে পারে না।

বিএনপির ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে উপনেতা বলেন, রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু বিএনপি সাধারণত অনৈতিক পথ অনুসরণ করে রাজনীতিতে মিথ্যাচার করছে। এ সময় তিনি ২০০৪ সালে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা কথা উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার জাতীয় সংসদে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, এই সংসদে জাতির পিতার হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাশসহ অনেক কালো আইন পাস হয়েছে। সংসদে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী, যুদ্ধাপরাধী, খুনি, সন্ত্রাসী, কালোবাজারিদের সদস্য করে আনা হয়েছে। সংসদের বিভিন্ন অবকাঠামো ধ্বংস করা পাশাপাশি সংসদের স্বাভাবিক কার্যপ্রণালী বিঘিœত করা হয়েছে। সংসদকে অকার্যকর করার সকল প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে। জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদকে কার্যকর করতে সংসদীয় কমিটিগুলোকে সক্রিয় করেছেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব চালু করাসহ সংসদকে কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি সংসদীয় গণতন্ত্রকে পুনপ্রতিষ্ঠা করেছেন।

রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের কল্যাণে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। অথচ স্বাধীনতা বিরোধীরা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতাকে অবহেলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে কাজ করছে।’

সংসদ সদস্যরা বলেন, ‘বিএনপির ছত্রছায়ায় স্বাধীনতা বিরোধীরা সাংবিধানিক সরকার গঠনের প্রধান বাধা’।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদও আলোচনায় অংশ নেন।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button