বিশ্বব্যাপী কাগজের মুদ্রার চাহিদা ২০ বছরের সর্বনিম্নে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী কাগজের মুদ্রার চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এটি বিগত ২০ বছরের সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকনোট তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান ডে লা রুই সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে।

বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ ব্যাংকনোটের নকশা করে ডে লা রুই। করোনা মহামারীর সময় থেকে ব্যাংকনোটের চাহিদা কমে গেছে বলে জানায় কোম্পানিটি। সে সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো প্রচুর মুদ্রা মজুদ করেছিল। ডে লা রুইয়ের সারা বছরের মুনাফায় ব্যাংকনোটের চাহিদা কমার প্রভাব পড়বে। কোম্পানির প্রত্যাশার তুলনায় মুনাফা কম হবে।

এক ট্রেডিং আপডেটে ডে লা রুই জানায়, “২০ বছর ধরে সারাবিশ্বে ব্যাংকনোটের চাহিদা সর্বনিম্ন। ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ক্রয়াদেশ কম হবে।”

ব্যাংকনোটের চাহিদা কমা প্রসঙ্গে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেন ডে লা রুইয়ের প্রধান ক্লাইভ ভ্যাচার। করোনার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো অনেক ব্যাংকনোটের ক্রয়াদেশ দিয়েছিল। অর্থনৈতিক সংকটের সময় তারা এ রকম করে। কিন্তু এখন তারা আর কোনও ক্রয়াদেশ দিচ্ছে না। কারণ তাদের মজুদ দিয়েই এখনও কাজ চলছে। বিবিসির সঙ্গে আলাপে এসব কথা জানান ক্লাইভ ভ্যাচার।

তিনি বলেন, “সংকটের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো প্রচুর ব্যাংকনোট মজুদ করে। প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে পর্যাপ্ত নগদ অর্থের জোগান নিশ্চিত করতে তারা এ রকম করে।”

অনেক দেশে গ্রাহকদের নগদ অর্থ ব্যবহারের পরিমাণ কমে গেছে। অনলাইন কিংবা কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়ছে। ব্যাংকনোটের চাহিদা কমে যাওয়ার এটিও অন্যতম কারণ।

ব্যাংকনোটের চাহিদা কমে যাওয়ায় সার্বিকভাবে ব্যবসা ও মুনাফা কমেছে ২০০ বছরের পুরনো প্রতিষ্ঠান ডে লা রুইয়ের। বুধবার এর শেয়ারের ৩০ শতাংশ দরপতন ঘটেছে।

সারা বিশ্বে ডে লা রুইয়ের ১ হাজার ৮০০ কর্মী আছে। বিশ্বের ১৪০টি দেশে কার্যক্রম চলছে শীর্ষ এ ব্যাংকনোট তৈরিকারক কোম্পানিটির

Exit mobile version