যশোরের এই বাজারে গরুর মাংসের কেজি ২৯০ টাকা

জুমবাংলা ডেস্ক : যশোর শহরের খড়কি হাজামপাড়া এলাকার সামেত্ত বানু ঈদের বাজার করতে পেরে খুব খুশি। কারণ ৭২০ টাকা মূল্যের এক কেজি গরুর মাংস কিনেছেন ২৯০ টাকায়।

সামেত্ত বানু বলেন, প্রায় এক বছর আগে মেয়ের জামাইবাড়ি গিয়ে গরুর মাংস খেয়েছি। আজ লসের বাজারে ২৯০ টাকা কেজিতে কিনেছি। সেইসঙ্গে ৫৩৫ টাকায় গরুর মাংসের পাশাপাশি পোলাও চাল, সয়াবিন তেল ও চিনি কিনেছি। পাশাপাশি সেমাই, বাদাম, কিসমিস, গুঁড়োদুধ আর মাংসের মসলা ফ্রি পেয়েছি।

সামেত্ত বানুর মতো যশোর সদরের মাহিদিয়া গ্রাম থেকে এসেছেন ভ্যানচালক আবদুল হক। এর আগেও তিনি লসের বাজার থেকে চাল-ডাল ও তেল কিনেছেন। আজ কম দামে মাংস, চাল-ডাল ও ঈদ সামগ্রী কিনতে পেরে স্বস্তি অনুভব করছেন তিনি।

যশোরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আইডিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থা মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজন করে ভিন্নধর্মী এই বাজারের। ‘আইডিয়া-সানাবিল লস প্রোজেক্টের অধীনে ‘মধ্যবিত্তের ঈদ বাজারে’ এদিন ৫৫৭টি পরিবার বাজার করতে পেরেছে।

আয়োজকরা জানান, বাজারে ৭২০ টাকা হলেও লসের বাজারে মাংস মিলছে ২৯০ টাকায়। পোলাও চালের কেজি ৮০ টাকা, তেল ১২০ টাকা লিটার ও ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে চিনি। সেইসঙ্গে সেমাই, বাদাম, কিসমিস, গুঁড়োদুধ ও মাংসের মশলা ঈদ উপহার হিসেবে বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। বাজারের এক হাজার ২৭০ টাকার পণ্য একজন ক্রেতা ৫৩৫ টাকায় কিনতে পারছেন।

প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা যশোর সরকারি এম এম কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. হামিদুল হক বলেন, এটি মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে ক্রয়ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। আমার এক ঝাঁক শিক্ষার্থী যোগ হয়ে মাসব্যাপী মানবকল্যাণে ঠকতে চাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিল। সেখানে যুক্ত হয়েছেন বিত্তবান ও সমাজের মহৎ মানুষ।

‘মানবকল্যাণে আমরা ঠকতে চাই’ স্লোগানকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের বসানো এই ভিন্নধর্মী বাজারের প্রশংসা করেন যশোর জেলা প্রশাসন। তাদের ভালো কাজকে উদ্বুদ্ধ করতে জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান ‘মধ্যবিত্তের ঈদবাজার’ পরিদর্শনে যান। একইসঙ্গে তিনি এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

প্রসঙ্গত, এই লস প্রোজেক্টের আওতায় ৫৫৭ মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ৯টি পণ্য বাজারদরের অর্ধেক মূল্যে বিক্রি করেছে। শেষ সপ্তাহ আজ মধ্যবিত্তের ঈদ বাজারের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হচ্ছে এই প্রকল্প।

Exit mobile version