Bangla News

ভারতের রাজ্য সবথেকে সুখী মিজোরাম, সাক্ষরতাতেও দ্বিতীয়!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের সবচেয়ে সুখী রাজ্য কোনটি জানেন? এটি আবার দেশের দ্বিতীয় সবচেয়ে শিক্ষিত রাজ্যও। ভারতের সবচেয়ে শিক্ষিত রাজ্যের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কেরল। কিন্তু আপনি কি জানেন দেশের দ্বিতীয় সবচেয়ে শিক্ষিত রাজ্য কোনটি? সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে সেই তথ্য। গবেষণাটি করেছেন গুরুগ্রামের ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ডেভলপমেন্টের অধ্যাপক রাজেশ কে পিলানিয়া। কী উঠে এসেছে গবেষণায়? সেই তথ্যই আমরা আপনাকে জানাবো।

উত্তর-পূর্ব ভারতের ছোট্ট রাজ্য মিজোরামই হল দেশের সবচেয়ে সুখী রাজ্য। সম্প্রতি গুরুগ্রামের ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ডেভলপমেন্টের কৌশলবিদ্যার অধ্যাপক রাজেশ কে পিলানিয়া একটি গবেষণা করেন। সেই গবেষণাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। মোট ৬টি প্যারামিটারের ভিত্তিতে এই গবেষণাটি চালানো হয়েছিল। দেশের সবচেয়ে সুখী রাজ্য হওয়ার পাশাপাশি এটি দ্বিতীয় সবচেয়ে সাক্ষর রাজ্যও।

মিজোরাম একটি উন্নতিশীল রাজ্য। এটি দেশের দ্বিতীয় রাজ্য যেখানে সাক্ষরতার হার ১০০ শতাংশ। এখানে পড়ুয়াদের বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতিতেও উন্নতি করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই গবেষণা করতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা হয়েছিল। যেমন পারিবারিক সম্পর্ক, কাজ সম্পর্কিত সমস্যা, সামাজিক সমস্যা এবং জনহিতৈষি কাজ, ধর্ম এবং শারিরীক এবং মানসিক স্বাস্থ্যে কোরোনার প্রভাব।

মিজোরামের সামাজিক কাঠামোও সেখানকার যুব সম্প্রদায়ের খুশি থাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা জানিয়েছেন, সেখানে পারিবারিক শিক্ষার জন্য যুব সম্প্রদায় সুখে থাকে। শুধু তাই নয়, তাদের সমাজে জাতিগত ভেদাভেদ নেই। একইসঙ্গে পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও কোনও নির্দিষ্ট বিষয় বেছে নিতে জোর করেন না। এর ফলে তারা সুখে থাকে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, মিজো সম্প্রদায়ের প্রতিটি শিশুই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোজগার করতে চায়। সাধারণত এখানে যুব সম্প্রদায় ১৬-১৭ বছর বয়সের মধ্যেই রোজগার করতে শুরু করে। এছাড়াও মানুষ এখানে কোনও কাজকেই ছোট মনে করেন না। এর জন্য তারা আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়। মিজো সমাজে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই।

তবে মিজোরামে ভেঙে পড়া পরিবারের সংখ্যা অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু এগুলি তাদের বাচ্চাদের প্রভাবিত করে না। কারণ তারা অল্প বয়স থেকেই সাবলম্বী হয়ে যায়। কম বয়স থেকেই তারা রোজগারের সুযোগ পেয়ে যায়। ফলে স্বাধীনতা পায় তারা। এর জন্য পরিবার ভেঙে গেলেও তাদের উপর তেমন প্রভাব পড়ে না। একইসঙ্গে মিজো সমাজের পুরুষ ও মহিলা উভয়কেই নিজেদের জীবন উপভোগ করার শিক্ষা দেওয়া হয়। ফলে এখানে মানুষ সুখে থাকেন।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button