মাত্র আড়াই ঘণ্টায় মারা গেল ৭০০ মুরগি!

জুমবাংলা ডেস্ক : কয়েকদিনের অব্যাহত দাবদহে বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রভাব পড়েছে পশুপাখির ওপরও। এতে করে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় হিটস্ট্রোকে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় ৭০০ ব্রয়লার মুরগির মারা গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে ফুলবাড়ীর শিবনগর ইউনিয়নের শমশেরনগর গ্রামে বাবু ইসলামের ‘বুসরা এগ্রো ফার্ম’ নামের খামারে এ ঘটনা ঘটে।

খামারি বাবু ইসলাম বলেন, তার খামারে মোট ১ হাজার ৬০০ মুরগি ছিল। প্রতিটি মুরগির বয়স ছিল ২৯ দিন এবং ওজন ছিল প্রায় দুই কেজি। এর মধ্যে গতকাল অতিরিক্ত গরমে ৭০০ মুরগি মারা যায়। গরম থেকে মুরগি বাঁচানোর জন্য খামারের ভেতরে পানি ও বড় ফ্যান ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু মুরগিগুলো রক্ষা করা যায়নি। আর কয়েকদিন থাকলেই প্রতিটি মুরগির ওজন হতো তিন কেজি।

বাবু ইসলাম বলেন, ‘এই গরমে আর মুরগি রাখব না। আজ বুধবার সব মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছি। এতে করে কিছু লোকসান হলেও করার কিছুই নেই।’

মারা যাওয়া ৭০০ মুরগির বর্তমান বাজার হিসেবে দাম কত হতো—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সোয়া দুই লাখ টাকায় ওই মুরগি বিক্রি করা যেত।’

একই এলাকার খামারের মালিক হাবিবুর রহমান রতন বলেন, ‘খাদ্যের যে দাম, তারপরও অনেক কষ্ট করে মুরগিগুলো পালন করেছি। আমার এলাকায় এক খামারে গরমে মুরগি মারা গেছে। গরমে এভাবে মারা গেলে মুরগি রাখা যাবে না। লোকসান হলেও মুরগি বিক্রি করে দিতে হবে।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানায়, অতিরিক্ত গরমে মুরগির হিটস্ট্রোক হচ্ছে। খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কোনো কার্যকরী ফল পাওয়া যাবে না।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় মোট মুরগির খামার ১৭৬টি। এর মধ্যে ব্রয়লার মুরগির খামার ১৫০টি এবং লেয়ার মুরগির খামার ২৬টি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই ধরনের আবহাওয়ায় মুরগির খামারে সবচেয়ে বড় সমস্য হলো তাপমাত্রা। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে বা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মুরগি খামারের ক্ষতি হবে—এটাই স্বাভাবিক।’

Exit mobile version