Bangla News

আলোর স্পিডের ৭ গুণ গতিতে ছুটছে এনার্জি জেট!

বিজ্ঞানীরা মহাকাশে এনার্জির একটি বিশাল বিস্ফোরণ লক্ষ্য করেছেন যা আলোর গতির চেয়ে দ্রুত গতিতে চলছে বলে মনে হচ্ছে। যাইহোক, এটি শুধুমাত্র একটি অপটিক্যাল ইলুশন হতে পারে যা সুপারলুমিনাল মোশন নামে পরিচিত। যখন কণাগুলি আলোর গতির খুব কাছাকাছি চলে যায় তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এই ক্ষেত্রে, বিজ্ঞানীরা দুটি নিউট্রন নক্ষত্রের মধ্যে সংঘর্ষের স্থান থেকে এনার্জি জেট বেরিয়ে আসতে দেখেছেন। এগুলি অত্যন্ত ঘন ও ভেঙে পড়া স্টার কোর এর ভর অতিরিক্ত বেশি ছিলো।

ওই দুটি নিউট্রন নক্ষত্রের মধ্যে সংঘর্ষ অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। সেখান থেকে যে তরঙ্গ উৎপন্ন হয়েছিল তা মহাকর্ষীয় তরঙ্গ হিসেবে পরিচিত। সর্বপ্রথম আইনস্টাইন ১৯১৬ সালে এ মহাকর্ষীয় তরঙ্গের ব্যাখ্যা প্রদান করেন।

২০১৬ সালে দুটি ব্ল্যাক হোলের মধ্যে সংঘর্ষ সনাক্ত করার পর বিজ্ঞানীরা এ তরঙ্গ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। ২০১৭ সালে গবেষকরা নিউট্রন তারা সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল।

মহাকর্ষীয় তরঙ্গ খালি চোখে দেখা যায় না। প্যাসাডেনার বড় ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ অবজারভেটরি (LIGO) এর মত টুল ব্যবহার করে এগুলি শনাক্ত করা যায়।

২০১৭ সালে নক্ষত্র থেকে তরঙ্গের বিস্ফোরণ শনক্ত করার পর বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এ সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেন। এরপর তারা কনার জেট শনাক্ত করতে সক্ষম হয় যা খুব দ্রুত গতিতে সংঘর্ষের স্থান থেকে বেরিয়ে আসছিল।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা হাবল স্যাটেলাইট টেলিস্কোপ এবং গায়া স্পেস অবজারভেটরি সহ বিভিন্ন টুল ব্যবহার করে ওই কণার জেট সম্পর্কে অধ্যায়ন শুরু করেন। ছয়টি রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এ সম্পর্কে ডাটা সংগ্রহ করা হচ্ছিল।

অপটিকাল ইলুশনের কারণে প্রথমে মনে হয়েছিল যে, এটি আলোর গতির চেয়ে দ্রুত ছুটে চলেছে। তবে জেটের কণাগুলো আলোর গতির খুব কাছাকাছি চলে যাচ্ছিল। বিজ্ঞানীরা সুপার লুমিনাল মোশনের বিষয়টি গাণিতিকভাবে এমনভাবে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়েছেন যা পদার্থ বিজ্ঞানের কোন নীতি লঙ্ঘন করেনি।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button