যেভাবে ৬ বছরের বড় অঞ্জলির প্রেমে পড়েন শচীন

স্পোর্টস ডেস্ক: মুম্বাই বিমানবন্দর ১৯৯০। ইংল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরছে ভারত ক্রিকেট দল। রবি শাস্ত্রী, আজহারউদ্দিনদের সঙ্গে সেই দলে ছিলেন ১৭ বছরের এক তরুণ। বেঁটেখাটো ঝাঁকড়া চুলের সেই তরুণে নাম শচীন টেন্ডুলকার।

অন্যদিকে মাকে রিসিভ করতে মুম্বাই বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন অঞ্জলি নামের এক তরুণী। সেদিন প্রথম শচীনকে চোখের দেখা দেখেছিলেন অঞ্জলি। ক্রিকেটের ‘ক’ না জানা অঞ্জলি তাই চিনতে পারেননি শচীনকে।

এরপর এক বন্ধুর বাড়িতে শচীনকে দেখেছিলেন অঞ্জলি। সেখানেই প্রথম আলাপ হয় তাদের। যা পরবর্তীতে রূপ নেয় প্রণয়ে। ক্রিকেট সামলে ৬ বছরের বড় অঞ্জলির সঙ্গে সমানতালে প্রেম করেছেন শচীন।

ক্রিকেটারকে মন দিয়ে বসার পর ক্রিকেট নিয়ে পড়াশোনা করেছেন অঞ্জলি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অঞ্জলি জানিয়েছিলেন, শচীনের সংস্পর্শে আসার পর ক্রিকেট নিয়ে আলাদা করে তিনি পড়াশোনা শুরু করেন। বইপত্র খুঁটিয়ে পড়ে বোঝার চেষ্টা করেছিলেন ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় এই খেলাকে।

বিশাল তারকাখ্যাতির কারণে শান্তিমতো প্রেমও করতে পারেননি এই যুগল। অনেক সময় অঞ্জলির সঙ্গে প্রেম করতে হয়েছে ছদ্মবেশে। এক বার তারা হলে সিনেমা দেখতে যান। গালে নকল দাড়ি লাগিয়ে সিনেমা হলে যান শচীন। হঠাৎ খুলে যায় দাড়ি। মুহূর্তেই শচীনকে চীনে ফেলে সবাই। আর তাই মাঝপথেই সিনেমা না দেখে চলে আসতে হয়।

১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ টানা পাঁচ বছর প্রেম করার পর বিয়ের পিড়িতে বসেন এই যুগল। ১৯৯৭ সালে জন্ম নেয় তাদের প্রথম কন্যা সন্তান সারা। আর ১৯৯৯ সালে জন্ম নেয় তাদের পুত্র সন্তান অর্জুন। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় দুই সন্তান নিয়ে সুখের সংসার শচীন ও অঞ্জলি দম্পতির।

সূত্র: আনন্দবাজার

Exit mobile version