৩৭ আলোকবর্ষ দূরের ‘রস ৫০৮বি’ সুপার-আর্থ জীবন বিকাশের জন্য সহায়ক!

এ মহাবিশ্বে মানবজাতি একা নাকি পৃথিবীর বাহিরে প্রাণের অস্তিত্ত্ব আছে তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলেছে। গবেষকরা মনে করে, পৃথিবীর বাহিরে এলিয়েনের উপস্থিতি থাকতে পারে। বিজ্ঞানীরা এমন স্থানের সন্ধানে আছেন যেখানে প্রাণ বা এলিয়েনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার জন্য আদর্শ জায়গা।

বহিঃগ্রহ নিয়ে গবেষণা সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন গ্রহে প্রাণের সন্ধানের পাশাপাশি বহির্জাগতিক জীবনের নানা রহস্যের ব্যাখ্যাও খোঁজা হচ্ছে।

বহিঃগ্রহ নিয়ে গবেষণায় সাম্প্রতিক সময়ে সুংসংবাদ রয়েছে। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সুবারু কৌশলগত কর্মসূচির মাধ্যমে সুপার-আর্থ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এটি পৃথিবী থেকে ৩৭ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।

সম্প্রতি আবিষ্কৃত রস 508 গ্রহের সিস্টেমটি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। সবুজ অঞ্চলের মাধ্যমে বসবাসযোগ্য স্থান বোঝানো হয়েছে। এখানে আবার তরল জলও থাকতে পারে। নীল রেখা দ্বারা গ্রহের কক্ষপথ বোঝানো হয়েছে।

গ্রহটি তার কক্ষপথের অর্ধেকেরও বেশি সময় HZ (কঠিন রেখা) এর কাছাকাছি এবং বাকি সময় HZ (ড্যাশড লাইন) এর মধ্যে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পাথরে সুপার আর্থ এর ভর আমাদের গ্রহের প্রায় চার গুণ।

নতুন গ্রহের সবথেকে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটির এক বছর শুধুমাত্র পৃথিবীর এগারো দিনের সমান হয়ে থাকে। লাল বামন সূর্যের চেয়ে অনেক ছোট হয় এবং এটি আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।

নতুন গ্রহের মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র সূর্যের চেয়েও বেশ ছোট ও এর কক্ষপথ খুব বেশি বড় নয় ‌‌। পাশাপাশিও এটির ব্যাসও কম‌। রস 508 গ্রহের কক্ষপথ উপবৃত্তাকার। বিজ্ঞানীরা এটিতে বাসযোগ্য অঞ্চলের মধ্যেই মনে করছেন।

এই গ্রহের পৃষ্ঠ জল ধরে রাখতে সক্ষম। তবে সেখানে পানি বা জীবন সত্যিকার অর্থে বিকাশ লাভ করবে কিনা তা নিয়ে আরো আলোচনা প্রয়োজন। সুবারু টেলিস্কোপে (IRD-SSP) ইনফ্রারেড স্পেকট্রোগ্রাফ আইআরডি ব্যবহার করে এ আবিষ্কার করা হয়েছে।

Exit mobile version