আওয়ামী লীগএক্সক্লুসিভজাতীয়ঢাকাবাংলাদেশবিএনপিরাজধানীরাজনীতি

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পাশাপাশি জেলহত্যার সঙ্গেও জিয়া ওতপ্রোতভাবে জড়িত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পাশাপাশি ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলহত্যার সঙ্গেও জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে বিজয়কে নস্যাৎ করার চেষ্টা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদে ওই অনির্ধারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।কেন্দ্রীয় কারাগারের মতো একটি সুরক্ষিত জায়গায় কীভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো সম্ভব, এমন প্রশ্নও রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘খুনি মোশতাক, জিয়া বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলেন। এরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর সরকার গঠন করে অনেক বাধা অতিক্রম করে আওয়ামী লীগ এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছে। রায় কার্যকর করেছে। কিছু খুনি এখনও বিদেশে পালিয়ে আছে। তাদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালে ক্ষমতার পালাবদলের পর জিয়াউর রহমান সেনা বাহিনীতে থাকা মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছেন। জাতির পিতার হত্যাকারীদের সাজা দেওয়ার বদলে পুরস্কৃত করেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার নির্যাতন হত্যা করেছেন। ৩ নভেম্বরের ঘটনায় জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে না হয়, সেজন্য দায়মুক্তি দিয়ে আইন করা হয়। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জেলহত্যার বিচার করেছে। বিচার কাজ চলার সময় ২০০১ এ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে এই মামলার একজন আসামিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দিয়ে বিদেশে পোস্টিং দেওয়া হয়। তারা যে হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের কর্মকাণ্ডেই তা প্রমাণ হয়।’

জিয়া যেমন খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলেন, তেমনই এইচ এম এরশাদও একই কাজ করেছেন বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুককে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন এরশাদ। অথচ ফারুক অবৈধ অস্ত্রসহ এনএসআইয়ের হাতে ধরা পড়েছিলেন।’তিনি আরও বলেন, ‘ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন অনেক বড় কথা বলেন। তিনিও খুনিদের নিয়ে রাজনৈতিক দল করেছেন।’

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button