গতকাল সোমবার দুপুরে খুলনা নগরের খালিশপুর এলাকার মদিনাবাগ আবাসিক এলাকায় বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বের হওয়া নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।পুলিশ এ ঘটনায় তিন যুবককে আটক করেছে।
গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খালিশপুর থানার পুলিশ জানায়, গণধর্ষণের শিকার হওয়া কিশোরী নগরীর দৌলতপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ফুলবাড়িগেট আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার সকালে বন্ধু মারুফের সাথে ঘুরতে বের হন। দৌলতপুর শামীম হোটেলে অবস্থানের সময় মারুফ তার বন্ধু ও ফুফাতো ভাই মেজবাহকে ফোন দেয়। ফোনের বিপরীত থেকে জানানো হয় ভাবীকে নিয়ে ঘুরতে আয়।
মারুফ ফোন পেয়ে ভিকটিমকে নিয়ে বেলা সোয়া ১১ টার দিকে ইজিবাইক যোগে দৌলতপুরের পাবলা সবুজ সংঘ মাঠের দিকে যায়। তখন মেজবাহ তার অপর দু’বন্ধু জয়নাল ও শিমুলকে সাথে নিয়ে ইজিবাইকে খালিশপুর মদিনাবাগ এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় মারুফের কাছে মেজবাহ টাকা দাবি করে। তার কাছে টাকা না থাকায় আটকে রেখে উল্লেখিত যুবকরা বান্ধবীকে একের পর এক ধর্ষণ করে। পরে তাদের দু’জনকে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
পরে ওই ছাত্রী ও তার বন্ধু সেখান থেকে দৌলতপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। দৌলতপুর থানা–পুলিশ বিষয়টি খালিশপুর থানায় জানায়। গতকাল রাতে ওই ছাত্রীর বাবা খালিশপুর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করে মামলা করেন।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাবলা সবুজ সংঘ মাঠ এলাকার মো. মেজবাহ উদ্দীন (২৫), একই এলাকার মো. ইমন মোল্লা (২০) ও পাবলা বৈরাগীপাড়া এলাকার মো. শিমুল চৌকিদার (২০)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিন আসামি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জাহাঙ্গীর বলেন, আসামি মেজবাহ মারুফের বন্ধু ও ফুফাতো ভাই। মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ করলে, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরই গতকাল পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।তাঁদের আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি তিনজনই ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।তাঁরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ