এক্সক্লুসিভখেলাজাতীয়ফুটবলবাংলাদেশ

আমার ড্রাইভিং জীবনের অন্যতম সেরা দিনঃ ছাদখোলা বাসের ড্রাইভার

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্বপ্নের ট্রফিটি নিয়ে দেশে ফিরেছেন বিজয়ীরা। ছাদখোলা বাসে চড়ে আনন্দ উল্লাস আর হৈ-হুল্লোড়ে এখন রাজধানীতে চলছে তাদের উদযাপন।এদিকে নারী ফুটবলারদের বাস চালানোর দায়িত্ব পেয়েছেন বিআরটিসির অভিজ্ঞ চালক আবুল কালাম ও মামুন সর্দার। এই দায়িত্ব পেয়ে তারা উচ্ছ্বসিত। আব্দুল কালাম বলেন, ‘আজ আমার ড্রাইভিং জীবনের অন্যতম সেরা দিন। আমি ভাবতেও পারিনি, নারী ফুটবলাররা সাফ ফুটবল জিতে আসবে আর আমি তাদেরকে চালক হিসেবে বহন করে নিয়ে যাবো, এটা কোনোদিন কল্পনাও করিনি।’

প্রথমবারের মতো ‘নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ’ জিতে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। ১৯ সেপ্টেস্বর সন্ধ্যায় নেপালকে হারিয়ে অনন্য, ঐতিহাসিক এই বিজয় ছিনিয়ে আনে বাংলার বাঘিনীরা। সেই বিজয় উদযাপনের ছাদখোলা বাসের ড্রাইভার আব্দুল কালাম বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত, খুশি। এরকম স্মৃতি জীবনে আর নেই আমার। এমনিতে জাহাঙ্গীরনরগর ইউনিভার্সিটির গাড়ী চালাই। বাসে উঠলে ছেলেরা-মেয়েরা আনন্দ করে। সেটা আমিও উপভোগ করি। কিন্তু এভাবে ফুটবলাররা জিতে আসবে এবং আমি তাদেরকে নিয়ে যাবে সেটা ভাবতে পারিনি কখনো।’তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে বিভিন্নজন ফোন করে বলছে, তোমাকে টিভিতে দেখা যাচ্ছে। আমার পরিবারও খুব খুশি। ২৪ বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছি। ১৯৯৯ সাল থেকে। এখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাস চালাচ্ছি।’

এর আগে বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে বেলা ১টা ৫০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী দলকে ফুল দিয়ে বরণ করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বাফুফে সহ সভাপতি আতাউর রহমান মানিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব এবং মন্ত্রণালয় ও বাফুফে কর্মকর্তারা।বিমানবন্দর থেকে মতিঝিলের বাফুফে ভবন—ছাদখোলা বাসে এ পথটুকু ফিরতে ফিরতে হাজার হাজার মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন সাবিনা খাতুনরা।হাত নাড়িয়ে, স্লোগান তুলে মেয়েদের অভিনন্দন জানিয়েছেন পথের দুই ধারে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ জনতা। মানুষের এ অভিবাদনে আপ্লুত সাবিনারা দীর্ঘ পথযাত্রা শেষেও যেন অক্লান্ত।

সাবিনারা নেপালে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছেন সোমবার সন্ধ্যায়। এরপর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও দেশের মানুষের যে উচ্ছ্বাস, তাতে ভালোবাসায় আপ্লুত বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক, ‘এই ঘটনার পর বলার অবকাশ রাখে না যে এই দেশের মানুষ ফুটবলের প্রতি কতটা আসক্ত এবং তাঁরা কতটা ভালোবাসেন। আপনারা সব সময় পাশে ছিলেন, আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। সামনেও সমর্থন দেবেন, আশা করি, আমারা দেশকে আরও ভালো ভালো শিরোপা উপহার দেব।’

অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও। বলেছেন, সাফল্যের পথে যাত্রাটা কেবলই শুরু হলো। সবার সমর্থন নিয়ে আরও অনেক দূর যেতে চান তিনি।২০০৩ সালে পুরুষদের সাফ জয়ের পর ফুটবলে বড় সাফল্যের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। আরেকটি সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করতে হলো দীর্ঘ ১৯ বছর।

বাংলা ম্যাগাজিন এস/কে

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button