অপরাধঅর্থ ও বাণিজ্যএক্সক্লুসিভজাতীয়বাংলাদেশ

কার কারসাজিতে ডিমের পাইকারি দর বেড়ে যায়

খাবারের দাম বৃদ্ধি, কম সরবরাহ ও বাড়তি পরিবহন ভাড়ার অজুহাতে বেড়ে যাওয়া ডিমের দাম মাঝে কিছুটা কমলেও আবারো বেড়েছে। বাজারে এখন প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। আর পাড়া-মহল্লার দোকানে একই ডিম ১৫০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৩৫ টাকা দরে।

ডিমের পাইকারি দর বেড়ে যাওয়ার কারণে বেশি দামে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় ডিমের দাম হাজারে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে জানিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছে, খুচরা ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের জন্য বেশি দামে বিক্রি করছে।

মেসার্স সততা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাজী রবিউল আলম মানবজমিনকে বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে ডিমের দাম শতকে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কমেছে আর হাজারে কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। আমরা বর্তমানে ১ হাজার ডিম ১০৫০ টাকায় বিক্রি করছি। গত সপ্তাহে একই পরিমাণ ডিমের দাম ছিল ১০৭০ থেকে ১০৮০ টাকা।

পশ্চিম আগারগাঁও’র ডিমের খুচরা ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, ১০ দিন আগে প্রতিটি ডিম পাইকারি কিনেছি ৯ টাকা ৫০ পয়সা করে। গত বুধবার থেকে সেই ডিম ১০ টাকা ৭০ পয়সা করে কিনতে হয়েছে। ২০০ ডিম কিনেছি ২১০০ টাকায়। এর মধ্যে গাড়িভাড়া তো আছেই। এ জন্য ডিমের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে।

আমরা বেশি দামে ডিম কিনে তো কম দামে বিক্রি করতে পারবো না। ডিমের দাম বাড়ালে বরং আমাদেরই লাভ কমে যায়। বিক্রির পরিমাণ অনেক কমে আসে।  এদিকে বাজারের চেয়ে পাড়া-মহল্লার দোকানে ডিমের দাম বেশি। এসব দোকানে প্রতি ডজন ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এর কারণ জানতে চাইলে তালতলা এলাকার মুদি দোকানি রুস্তম আলী বলেন, বড় দোকানে অনেক বিক্রি হয়। কিন্তু আমরা বাজার থেকে অল্পসংখ্যক ডিম এনে দোকানে বিক্রি করি। তাই ১৫০ টাকা ডজন বিক্রি করছি। এটাই খুচরা বাজারে গেলে ক্রেতারা ১৪৫ টাকায় পাচ্ছেন।

একইভাবে বেড়েছে হাঁস, দেশী মুরগি ও কোয়েলের ডিমের দাম। ডিম ব্যবসায়ী আশিকুর রহমান বলেন, বাজারে হাঁসের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। আর দেশি মুরগির ডিম ২০০ টাকা ডজন। কোয়েলের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা ডজন।

ডিম বিক্রি করে আমাদের তেমন লাভ থাকে না জানিয়ে সততা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বলেন, আমাদের বেশি লাভ হয় কমিশন থেকে। তবে ডিমের দাম সামনে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন ফার্মের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে যেটা জানতে পেরেছি সেটি হলো, খাদ্যসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়া, বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে অনেকে ফার্মের ব্যবসা ছাড়ছেন।

এজন্য আগের তুলনায় ডিমের সরবরাহ অনেক কমেছে। আগে যেখানে ৮০ থেকে ৯০ হাজার ডিম আসতো, এখন সেখানে ৫০ থেকে ৬০ হাজার ডিম আসছে। পাইকারি দোকান মেসার্স আলমগীর ট্রেডার্সের এক কর্মচারী বলেন, ডিমের দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৫-৩০ টাকা কমেছে।

বাজারে যদি ডিমের দাম বেশি নেয়া হয় সেক্ষেত্রে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। তবে ডিমের সরবরাহ আগের থেকে অনেক কমেছে। ফার্ম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেকে ব্যবসা ছাড়ছে। এজন্য সরবরাহ কমেছে।

বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button