এক্সক্লুসিভএশিয়াবিশ্ব সংবাদ

চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংকে গৃহবন্দি রাখার গুঞ্জন

চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এমনকি ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে।ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা প্রেসিডেন্টকে গৃহবন্দি ও অভ্যুত্থানের গুজব নিয়ে তুমুল আলোড়ন তৈরি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

তবে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্য কতটুকু সঠিক তা নিয়ে এখনো দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি এই বিষয়ে চীনের তরফ থেকেও কোনো মন্তব্য আসেনি।২০১২ সাল থেকে চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আছেন ৬৯ বছর বয়সি শি চিনপিং। তার বর্তমান মেয়াদ ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে আমৃত্যু তিনিই প্রেসিডেন্ট থাকবেন বলে সংবিধান পরিবর্তন করে নেন।

চীনের মানবাধিকার কর্মী জেনিফার জেং সর্বপ্রথম সেনা অভ্যুত্থান ঘটছে বলে দাবি করেন। এ নিয়ে ৫৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও টুইটারে শেয়ার করেন তিনি।সেখানে উল্লেখ করেন, ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেনা বহর বেইজিংয়ের পথে রয়েছে। এ ছাড়া শি চিনপিংকে গৃহবন্দি করার পাশাপাশি সরকারের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন জেনিফার।

শুধু সেনা বহরই নয়, চীনে গণহারে বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হচ্ছে বলেও খবর ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে দাবি করেন, ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ফ্লাইট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।টুইটারে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। ২৩ সেপ্টেম্বরে পোস্ট দেওয়া ভিডিওটি এখন পর্যন্ত দেখা হয়েছে ৩৫ লাখ বার।তবে ভিডিওটি কবে-কোথায় ধারণ করা বা আদৌ সেনা বহরের কি না তা যাচাই করা যায়নি।

সম্প্রতি চীনা প্রেসিডেন্ট উজবেকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সামিটে অংশ নেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ২০২০ সালে সীমান্তে সংঘর্ষ ঘটনার পর প্রথমবারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখোমুখি হন শি।

আজ বেইজিংয়ের আকাশে কোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইট উড়ে না যাওয়ার খবরও চাউর হয়েছে। তবে এসবের সত্যতা এখন পর্যন্ত যাচাই করা সম্ভব হয়নি।চলতি সপ্তাহের শুরুতে চীন দেশটির সাবেক দুই মন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এরপরের শি জিনপিংয়ের গৃহবন্দি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button