আজ সোমবার ইউনূস সেন্টারের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জার্মানির মর্যাদাপূর্ণ ‘কার্ল কুবল পুরস্কার’ পেয়েছেন।গত ৩০ সেপ্টেম্বর জার্মানির বেনশাইমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করে ‘কার্ল কুবল ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলি’।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফাউন্ডেশনের ৫০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে এ সম্মাননা দেয়া হয়। ‘পরিবার গুরুত্বপূর্ণ’- স্লোগানকে সামনে রেখে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে প্রতিষ্ঠানটি। কার্ল কুবল ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পরিষদের ডেপুটি চেয়ার ড. কার্সটিন হুমবার্গ এ উপলক্ষ্যে বলেন, ড. ইউনূস তার অসংখ্য নারী গ্রাহকদের সন্তান ও পরিবারের জন্য একটি অধিকতর সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিত করেছেন।
ড. কার্সটিন বাংলাদেশি এই অর্থনীতিবিদের প্রশংসা করে বলেন, কোভিড-১৯, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, নতুন নতুন যুদ্ধ – পৃথিবীর নানাবিধ সংকটের সময় ইউনূস মানুষের জন্য আশার একটি বিশাল উৎস হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইউনূস ‘পরিবর্তনের পথিকৃৎ ও আশা-স্রষ্টা’।
সমাজসেবক কার্ল কুবল ও অধ্যাপক ইউনূসের তুলনা করতে গিয়ে ড. কার্সটিন বলেন, তারা উভয়েই ১৯৮০-র দশকে মানুষের উদ্যোক্তা সত্ত্বা বিকশিত করার মাধ্যমে সামাজিক লক্ষ্যসমূহ নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেন এবং উভয়েই মানুষকে সহায়তা করতে এমন সুচিন্তিত পদ্ধতি প্রয়োগ করেন যেন তারা নিজেরাই নিজেদের সহায়তা করতে পারেন। কুবল ও ইউনূস উভয়েই ব্যবসায় উদ্যোগ-ভিত্তিক উন্নয়ন সহযোগিতার পথপ্রদর্শক।
১৯৭২ সালে উদ্যোক্তা কার্ল কুবলের প্রতিষ্ঠিত ‘কার্ল কুবল ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলি’ মানুষকে নিজেদের সহায়তা করার নীতিতে কাজ করে এবং জার্মানি ও বিশ্বের অন্যস্থানে অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও পিতা-মাতার জন্য গত ৫০ বছর ধরে কাজ করে আসছে।