বছরজুড়ে কতই না ঘটনা ঘটে। পুরো বিশ্বে সেরা হওয়ার দৌড়ে বিচিত্র কর্মকাণ্ডে মশগুল থাকেন অনেকে। সেরাদের তালিকায় সেরা ঘটনাগুলো আলোচনায় উঠে আসে। এরপর রেকর্ড গড়ে জায়গা করে নেন গিনেস বুকে। প্রতিবছরের মতো ২০২১ সালেও গিনেস বুকে স্থান পেয়েছে কিছু ঘটনা আর ব্যক্তির নাম। শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে এসব ঘটনা বা ব্যক্তি অন্যদের পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন।
যাদের নাম জানে এখন পুরো বিশ্ব। ২০২১ সালের সালতামামির আয়োজনে গিনেস বুকে রেকর্ড করা সেই সব খবরের দিকেই ফিরে দেখব এই আয়োজনে।২০১৯ সালে এক পায়ের ওপর ৩০ সেকেন্ডে ১৪৪ বার এবং ১ মিনিটে ২৫৮ বার লাফিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন রাসেল। এভাবে একের পর এক রেকর্ড গড়ে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ইভেন্টে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ছয়বার সার্টিফিকেট অর্জন করেন রাসেল। তার এমন কৃতিত্বেও জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে আসেনি তেমন কোনো সহযোগিতা। এদিকে স্থানীয়সহ ক্রীড়াসংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ভালো খেলোয়াড় তৈরিতে বিকল্প নেই পৃষ্ঠপোষকতার।
গিনেস বুকে নাম লেখানো খেলোয়াড় রাসেল ইসলাম বলেন, ‘যখন আমি বিশ্ব রেকর্ডগুলো করি, তখন জেলা ক্রীড়া সংস্থা আমাকে আশ্বাস দিয়েছিল তারা আমাকে সংবর্ধনা দেবে। তবে তারা তো সংবর্ধনা দূরে থাক, আমার কোনো খোঁজখবরই নেয় না। আমি যে বিশ্ব রেকর্ড করেছি, তাও তারা জানে কি না আমার মনে হয়।’
এদিকে ঠাকুরগাঁও ক্রীড়া সংগঠক ফারুক হোসেন জুলু বলেন, ‘যে প্রতিষ্ঠানগুলো খেলাধুলা দেখাশোনা করার জন্য আছে, তাদের আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। আরও ভালো সংগঠক দিয়ে সংগঠনগুলো পরিচালনা করা উচিত বলে আমি মনে করি।’ রাসেলের স্কিপিং রোপ খেলায় এবার দিয়ে চারটি বিশ্ব রেকর্ড করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আসিফুল হাসান আসিফ জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাসেলকে পৃষ্ঠপোষকতার জন্য ফেডারেশনের সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
সে যেন এ খেলাটি চালিয়ে যেতে পারে। তার কৃতিত্বের বিষয়ে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করা হবে।’এমন কৃতিত্বে রাসেলকে সাধুবাদ জানান সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘রাসেলের এ খেলার বিষয়ে কোনো ধরনের সহযোগিতা লাগলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা করা হবে।’