অপরাধঢাকাধর্ষণবাংলাদেশরাজধানী

ধানমন্ডিতে অনলাইন পার্লারকর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় পার্লার কর্মী এক তরুণীকে বাসায় ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণী অনলাইন পেজের মাধ্যমে বিভিন্ন বাসায় গিয়ে রূপসজ্জার কাজ করতেন। গত মঙ্গলবার রাতে ধানমন্ডি ২৮ নম্বরের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

তরুণীর এক স্বজন জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক নারী ঘটনার শিকার তরুণীকে ফোন দিয়ে ধানমন্ডি ২৮ নম্বর যেতে বলেন। রাতে যেতে না চাইলে সেই নারী তাকে কয়েক দফায় অনুরোধ জানান। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পার্লারকর্মী তরুণী ধানমন্ডি যান।

সেখানে একটি ছেলে তাকে রিসিভ করে বাসার দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। ওই ফ্ল্যাটে তখন এক নারীসহ তিন তরুণ ছিলেন। এক পর্যায়ে সেখানে থাকা নারী বাসা থেকে বের হয়ে যান। তখন পার্লারকর্মী তরুণী বের হওয়ার চেষ্টা করলে তাকে জোর করে আটকে রাখা হয়।

ঘটনার শিকার তরুণীকে উদ্ধৃত করে ওই স্বজন আরও বলেন, প্রথমে তারা ভিকটিমকে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করানোর চেষ্টা করে। পরে তিনজন মিলে তার ওপর পাশবিকতা চালায়। রাত ১০টার দিকে ওই তরুণেরা ভিকটিমের মোবাইল ফোন রেখে দেয় এবং তাকে পালিয়ে যেতে বলে। না গেলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

পরে তরুণী ওই বাসা থেকে বেরিয়ে একটি রাইড শেয়ারে করে গাবতলী যান। সেখানে পৌঁছে তিনি স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার সকালে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আজ বুধবার তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। তবে যে বাসায় ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তরুণী পুলিশকে বাসার ঠিকানা দিতে পারেননি। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ঘটনার শিকার তরুণী মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় স্বামীর সঙ্গে থাকেন। তার স্বামী জুতার ব্যবসা করেন।

ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনছুর আহমেদ জানান, ভুক্তভোগী তরুণী ঘটনাস্থলের ঠিকানা ঠিকমতো বলতে পারছে না। ভিকটিম সুস্থ হলে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে হবে।ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া জানান, তারা ঘটনাস্থল খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। তরুণীর অভিযোগটি যাচাই করা হচ্ছে।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button