রাজধানীর শুক্রাবাদের একটি বাসায় পারলার–কর্মী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। শেরেবাংলা নগর থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে গতকাল বুধবার রাতে মামলা করেছেন ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী। পুলিশ জানিয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায় তিন পুরুষ ও এক নারীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গত মঙ্গলবার বাসায় রূপচর্চাসেবা নেওয়ার কথা বলে সাভার থেকে ওই নারী পারলার–কর্মীকে শুক্রাবাদের ওই বাসায় ডাকা হয়। ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া গতকাল বলেন, ধর্ষণের শিকার নারী সাভারে থাকেন।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক তরুণী তাঁকে ফোন করে কাজ করাবেন বলে ধানমন্ডি ২৮ নম্বরে আসতে বলেন। সে অনুযায়ী পারলার–কর্মী ধানমন্ডি ২৮ নম্বরে যান। সেখান থেকে ওই তরুণী পারলার–কর্মী নারীকে শুক্রাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালের পাশের গলির একটি বাড়ির দোতলার বাসায় নিয়ে যান।
পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল বিকেলে ওই পারলার–কর্মীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।ওসিসির সমন্বয়ক বিলকিস বেগম বলেন, প্রাথমিকভাবে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তাঁর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আজ তাঁর আরও কিছু পরীক্ষা–নিরিক্ষা করা হবে। এরপর বিস্তারিত বলা যাবে।
ধানমন্ডি থানার ওসি আরও বলেন, ওই বাসায় থাকা তিন তরুণ প্রথমে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে পারলার–কর্মীকে মারধর করেন। পরে তাঁরা ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এতে সহায়তা করেন ডেকে আনা তরুণী। পরে রাতে ওই নারীকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি সাভারে অবস্থানরত তাঁর স্বামীকে খবর দিলে তিনি শুক্রাবাদে আসেন।পারলার–কর্মী নারীর স্বামী গতকাল বিকেলে বলেন, তাঁর স্ত্রী পারলারে কাজ শিখেছেন। তিনি বাসায় গিয়ে রূপচর্চাসেবা দেন, অনলাইনে এমন একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন।