ঢাকাবাংলাদেশশিক্ষাঙ্গন

ঢাবির ২৫৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী সময়মতো অফিসে আসেননি

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে দেখা যায়, সময়মতো অফিসে আসেননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক ভবনের অন্তত ২৫৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অন্তত ২৫৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তাদের কক্ষে পাওয়া যায়নি।

এর মধ্যে প্রশাসনিক ভবনের আইসিটি সেলের ১৩ চেয়ারে কেউ নেই। ৩১৩(ক) নম্বর কক্ষে ১১ জন, ৩১৯ নম্বর কক্ষে ১২ জন, ২০৮ নম্বর কক্ষে ১০ জন, ২০৭ নম্বর কক্ষে ৬ জন অনুপস্থিত ছিলেন।

অফিস টাইমে কর্মকর্তাদের আসার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিককে উল্টো প্রশ্ন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট ম্যানেজার ফাতেমা বিনতে মুস্তফা। তিনি প্রতিবেদকে বলেন, ‘অফিস টাইমে আসেনি এটা কি দেখার দায়িত্ব আপনার?’তখন তাকে গণমাধ্যমের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত করলে তিনি বলেন, ‘আপনি বলেছেন, সেটা আমি দেখব। আজ বৃহস্পতিবার দু-একজন ছুটি নিয়েছেন। কাকে কাকে দেখেছেন, সেটা তো আমি বলতে পারছি না।’

অফিস টাইমে আপনিও আসেননি—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তো রাউন্ডে থাকব। আমি রাউন্ড দিয়ে তারপর অফিসে আসব। আপনি তো এসব কথা জিজ্ঞেস করতে পারেন না। আপনার কাছে বলারও কিছু নাই।’

৯টা ২০ মিনিটের দিকে পেনশন শাখার বেশিরভাগ চেয়ারই খালি দেখা যায়। এ সময় হিসাব শাখার পরিচালকসহ শাখাটির ১৩ জন অনুপস্থিত ছিলেন। প্রধান প্রকৌশলী আসেন সাড়ে ৯টায়। সহকারী প্রকৌশলী প্রীতম দত্তকে সাড়ে ৯টায়ও অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায়।

একই সময়ে কোষাধ্যক্ষের অফিসে একজন অনুপস্থিত। সাড়ে ৯টায় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অফিসে (কক্ষ নম্বর ১১৮) অনুপস্থিত তিনজন। হিসাব শাখার আওতাধীন ১২৩(ক) নম্বর কক্ষে ৬ জনের সবাই অনুপস্থিত। এ ছাড়া কক্ষ নম্বর অনুযায়ী এ সময় ১২৪(খ) নম্বর কক্ষে তিনজন, চেক দেওয়ার কক্ষে চারজন, ১২৪(গ) নম্বর কক্ষে ভর্তি শাখায় চারজন, ১২৪(ঘ) নম্বর কক্ষে ট্রাস্ট ফান্ড শাখার চারজনের সবাই, ১২৭ নম্বর কক্ষে ১৩ জন, ১১৭ নম্বর কক্ষে তিনজনের সবাই, ১১৬ নম্বর কক্ষের দুজন, ১১৫ নম্বর কক্ষে আটজন, ১১৩ নম্বর কক্ষে একজন, ১০৩ নম্বর কক্ষে কোষাধ্যক্ষের অফিসে একজন ও উপাচার্য অফিসে একজন অনুপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া প্রকৌশল দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও ই-টেন্ডার রুম, পরীক্ষা উপনিয়ন্ত্রক ড. হিমাদ্রি শেখর চক্রবর্তী, ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ৩) সৈয়দা মাসুদা আক্তারের কক্ষে তালা ছিল। তবে ২১২, ২১২(ক), ২০৩ ও ২০৫ নম্বর কক্ষের সবাই উপস্থিত ছিলেন।

অফিস টাইমে কর্মকর্তাদের আসার বিষয়টি নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট অফিসপ্রধান যারা আছেন, তাদের সতর্ক করতে হবে, যাতে বিলম্ব না ঘটে।’

বিষয়টি পর্যবেক্ষণে আনা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিয়মিত পর্যবেক্ষণে আছে। বিভিন্ন ধরনের মানুষজন আছেন। আমরা মাঝেমধ্যে দেখি। ধরা পড়লে তারা শাস্তির আওতায় আসেন।’

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button