একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনয়শিল্পী, নাট্যকার মাসুম আজিজ টানা চারদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান মঞ্চ ও টিভি নাটকের এই জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী।
অভিনেতা মাসুম আজিজের মরদেহ আগামীকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। সেখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন সর্বস্তরের মানুষ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ নেওয়া হবে পাবনার গ্রামের বাড়িতে। সেখানেই তার দাফন হবে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গোলাম কুদ্দুছ জানান, মাসুম আজিজের মরদেহ আজ স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সবার শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেখানে রাখা হবে।
এছাড়াও একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট অভিনয়শিল্পী এবং নাট্যকার মাসুম আজিজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, অভিনয়ের মাধ্যমেই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন এই গুণী শিল্পী। প্রধানমন্ত্রী মাসুম আজিজের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
১৯৫৩ সালের ২২ অক্টোবর পাবনার ফরিদপুর উপজেলার খাগড়বাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মাসুম আজিজ। ১৯৭২ থেকে নাট্যচর্চা শুরু করে ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে নাট্যশিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। ওই বছরই প্রয়াত আবু তাহেরের প্রযোজনায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রাচী নাটকের একটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার টেলিভিশন অভিনয়ের শুরু। তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন টেলিভিশনসহ শিল্পের প্রায় প্রতিটি শাখায়।
‘ঘানি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে রাইসুল ইসলাম আসাদের সঙ্গে যৌথভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান মাসুম আজিজ। শিল্পকলায় বিশেষ অবদান রাখায় মাসুম আজিজ ২০২২ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক পান।