অর্থ ও বাণিজ্যবাংলাদেশ

পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইন

অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ টানা পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে ক্রেতাদের জন্য বছরের সেরা অফারে কেনাকাটা করার সুযোগ দারাজের ’১১.১১’ ক্যাম্পেইন।আয়োজিত এই ক্যাম্পেইন আগামী ১১ নভেম্বর শুরু হয়ে চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত।

২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর ১১ নভেম্বর বিশেষ এই ক্যাম্পেইন নিয়ে আসে চীনভিত্তিক ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও ক্যাম্পেইনটি বেশ গুরুত্ব দিয়ে পালিত হয়। ইতোমধ্যে গ্রাহক ও ভোক্তাদের মাঝে দারাজের এই ১১.১১ ক্যাম্পেইন বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্পেইনের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ।

জানানো হয়, ক্যাম্পেইন চলাকালে বিভিন্ন ছাড়, সুবিধা ও অফারের মাধ্যমে তুলনামূলক কম দামে কাঙ্ক্ষিত পণ্যগুলো কিনতে পারবেন ক্রেতারা। চলতি বছর ক্রেতাদের কেনাকাটায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে এক্সক্লুসিভ ভাউচার, বাজেট বাই, কাউন্টডাউন ডিল, অ্যাড-টু-কার্ট গিভঅ্যাওয়ে, প্রাইস স্ল্যাশ, মেগা ভাউচার, হট ডিল, ব্র্যান্ড-ফ্রি শিপিং, ফ্ল্যাশ পাজল চ্যালেঞ্জ, শেক শেকসহ আরও বেশকিছু অফার নিয়ে এসেছে দারাজ।

দারাজের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো বলেন, ‘দারাজ মূলত টেকসই ই-কমার্স তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে, যা স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে। ১১.১১ এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সেলস ক্যাম্পেইন। তাই আমরা ব্যবসার পাশাপাশি কমপ্লায়েন্স ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে বেশি জোর দিয়েছি।

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ তৈরিতে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি আমরা। এছাড়াও ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি তৈরিতে নিরলস কাজ করে যাছে দারাজ, যা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।’

দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য ই-কমার্স খাতের অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে। তাই এ খাতের বিকাশে আমরা প্রতিনিয়ত এমন ক্যাম্পেইন নিয়ে আসি। এ ধরনের ক্যাম্পেইনে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ক্রেতা সম্পৃক্ত হয়, যা ই-কমার্স খাতের প্রবৃদ্ধিকেই প্রতিফলিত করে।

ক্যাম্পেইন সম্পর্কে মোস্তাহিদল আরও বলেন, বছরের বৃহত্তম বিক্রয় উৎসব নিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যবসায়ীদের বেশ আগ্রহ থাকে। এ সময়ে তাদের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি হয়। টানা চার বছর ধরে আমরা এ ক্যাম্পেইনটি আয়োজন করছি। তবে এবারের আয়োজনটি একটু ব্যতিক্রম। এ বছর আমাদের এ ক্যাম্পেইনটি ১১ দিন ধরে চলবে। এ ক্যাম্পেইনের স্পন্সর, পেমেন্ট ও ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে যারা আছেন, তাদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

ক্যাম্পেইনের ডায়মন্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে সিঙ্গার, রিয়েলমি, শাওমি, অ্যাপেক্স, বাটা, লাক্স, ডেটল, স্টুডিও এক্স, গোদরেজ ও লোটো। গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে মোশন ভিউ, হায়ার, ইনফিনিক্স, টিপি-লিংক, ফ্যাব্রিলাইফ, রিবানা, নেসলে, ডেকো, প্যারাসুট ন্যাচারাল শ্যাম্পু ও ম্যাসকুলিন।

এছাড়া সিলভার স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ওয়াও স্কিন সায়েন্স, ওরাইমো গ্লোবাল, ঝিয়ুন, ম্যানফেয়ার, ভ্যাসলিন, স্কিন ক্যাফে, ওজেরিও, লিভিংটেক্স, ফার্নিকম, মটোরোলা, লুইসউইল ও এস্কেমেই।

ক্যাম্পেইনে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে রয়েছে বিকাশ, ইবিএল, সিটি ব্যাংক, এইচএসবিসি, ঢাকা ব্যাংক, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, এসইবিএল, ইউসিবি ও ব্র্যাক ব্যাংক।

ক্যাম্পেইনের অ্যাফিলিয়েট পার্টনার হিসেবে রয়েছে গ্রামীণফোন মাইজিপি অ্যাপ।

১১.১১ ক্যাম্পেইনের ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে রয়েছে জায়নাক্স হেলথ, টগি ফান ওয়ার্ল্ড, ল্যাভিশ বুটিক, প্রিভে বাই নাহিলা, স্প্লেনডর বাই আনিকা, লাক্স স্যালন, লিয়া’স বিউটি বক্স, স্কিন অ্যান্ড স্ক্যাল্প, তিশা’স বিউটি হাব, স্টুডিও অমব্রে, পালস হেলথকেয়ার, পাউডার রুম বাই এশা এবং গ্ল্যামফ্রিক বাই ফারিন।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button