Bangla News

গিনেস রেকর্ড গড়া ‘নাগা মরিচ’ চাষে লাখপতি এনামুল মিয়া

জুমবাংলা ডেস্ক: সর্বোচ্চ ঝাল মরিচ হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পাওয়া ‘নাগা মরিচ’ চাষে তাক লাগিয়েছেন এনামুল মিয়া। ৩ একর বোরো জমিতে নাগা মরিচের বিপ্লব ঘটিয়ে এ কৃষকের বাৎসরিক আয় এখন প্রায় ২০ লাখ টাকা। বাংলানিউজ এর প্রতিবেদক বদরুল আলম-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত।

এনামুল হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কাজী মহল্লার বাসিন্দা। তার জমিটি এ এলাকার গাছগুড়ি হাওরে অবস্থিত।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাওর ভেদ করে যাওয়া মেটোপথের ধারে এক টুকরো সবুজের সমারোহ। কাছে গেলে চোখে পড়ে বুকসমান উঁচু হাজারো গাছে ঝুলছে সবুজ আর লাল নাগা মরিচ। চোখ ও নাক ছুয়ে যায় ঝাঝ আর ঝাঝালো গন্ধে।

এনামুল মিয়া বলেন, আমার ৩ একর জমিতে প্রায় ৩০ হাজার নাগা মরিচ গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে শতাধিক মরিচ ধরেছে। প্রতিদিনই মরিচ তুলে বিক্রি করছি। দেশের বিভিন্ন প্রান্থ থেকে পাইকাররা এসে মরিচ কিনে নেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতি কেজি মরিচ ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। গাছগুলো বারোমাসি হওয়ায় শুকনো মৌসুমের পুরোটাজুড়েই উৎপাদন অব্যাহত থাকে। সব খরচ বাদ দিয়ে তার বাৎসরিক আয় প্রায় ২০ লাখ টাকা।

বোরো জমিতে নাগা মরিচ চাষের ব্যাপারটি কি করে সম্ভব হলো সে ব্যাপারে এনামুল বলেন, শুরুতে একটি মরিচ থেকে ৬টি চারা করে শখের বসে জমিতে রোপণ করি। পরে ভালো ফলন দেখে চাষের পরিমাণ বাড়িয়েছি। ভবিষ্যতে চাষের পরিমাণ আরও বাড়বো।

জমি দেখতে যাওয়া চিকিৎসক মঈনুল হাসান শাকীল বলেন, পাহাড়ি এলাকায় চাষ হওয়া সব্জির নাম নাগা মরিচ; তবে এনামুলের ৩ একর জমিতে মরিচের এত ভালো ফলন যেন অসম্ভবকে সম্ভব করার মতো কাজ।

এরকম একটি সম্ভাবনাময় আবাদে সরকারের কৃষি অধিদপ্তর সহযোগিতা করে কি না জানতে চাইলে চাষি এনামুল বলেন, কর্মকর্তারা এসে পরিদর্শন করে চলে যান, পরে তারা আর কোনো সহায়তা করেন না।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button