Bangla News

৮৫ বছরের বৃদ্ধকে বিয়ে করলেন ২৪ বছরের তরুণী

প্রেমের আবার বয়স হয় নাকি! মনে প্রজাপতি পাখনা মেললে যে কেউ যে কোনও বয়সেই ভালোবাসার বাঁধনে নিজেকে জড়াতে পারেন। ঠিক যেমনটা হয়েছে ৮৫ বছরের বৃদ্ধ চার্লস পোগের। জীবনপথে বার্ধক্য তাকে ছুঁলেও, তার হৃদয়কে স্পর্শ করতে পারেনি।

আর সেই কারণেই তো ৮৫ বছরের বৃদ্ধের মনটা একেবারে তরতাজা। সেই মনের টানেই বৃদ্ধ বয়সে প্রেমের জোয়ারে গা ভাসিয়েছেন তিনি। নাতনির বয়সি এক তরুণীর সঙ্গে ঘটা করে বিয়ে করেছেন।

২৪ বছরের মিরাকেল পোগের সঙ্গে ৮৫ বছরের চার্লসের এহেন প্রেমকাহিনি বেশ আলোচিত হয়েছে। কেউ এই অসমবয়সি প্রেমের কথা শুনে চোখ বড় বড় করেছেন। আবার কেউ এমন প্রেমের গল্পে মজেছেন।

তবে, নিন্দকরা যাই বলুক না কেন, তাতে ওই যুগলের কিছু যায়-আসে না। তারা চুটিয়ে সংসার করছেন।

ঘটনাটি মিসিসিপির স্টার্কভিলের। ২০১৯ সালে একটি লন্ড্রিতে চার্লসের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল মিরাকেলের।

সেই সাক্ষাতের অল্প দিনের মধ্যেই তাদের মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। বন্ধুত্ব থেকেই ধীরে ধীরে শুরু হয় প্রেম পর্ব।

রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হিসাবে অতীতে কর্মরত ছিলেন চার্লস। আর মিরাকেল পেশায় নার্স। ২০১৯ সালে প্রথম দেখা। তার পর বন্ধুত্ব এবং একে অপরের আরও কাছে আসা। মনের কথা একে অপরকে বলতে তাঁরা কেউই দেরি করেননি।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মিরাকেলকে প্রেম নিবেদন করেন চার্লস। প্রস্তাব দেন বিয়েরও। তাতে রাজিও হয়েছিলেন মিরাকেল। কারণ মনে মনে চার্লসকে তত দিনে ভালবেসে ফেলেছিলেন ওই তরুণী।

তবে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধের সঙ্গে সংসার পাতা তো চাট্টিখানি কথা নয়। পরিবারকে রাজি করানোটাও চ্যালেঞ্জ ছিল মিরাকেলের কাছে।

মা তামিকা ফিলিপস এবং দাদু জো ব্রাউনকে পাশে পেয়েছিলেন মিরাকেল। চার্লসের সঙ্গে মিরাকেলের সম্পর্ক তারা মেনে নিয়েছিলেন। মিরাকেলের দাদুও চার্লসের থেকে ছোট।তার দাদুর বয়স ৭২।

মা, দাদুকে রাজি করাতে পারলেও বাবা কারিম ফিলিপ্স মেয়ের এই সম্পর্ককে মানতে পারেননি। তিনি আপত্তি জানিয়েছিলেন। বাবাকে রাজি করাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল মিরাকেলকে।

এই নিয়ে বাবা এবং কন্যার মধ্যে দীর্ঘ মান-অভিমান পর্ব চলে। তবে চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাকে জামাই হিসাবে সাদরে গ্রহণ করে নেন মিরাকেলের বাবা।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button