জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা মহানগর তেজগাঁও থানার সাবেক সভাপতি শহীদ জাকির হোসেন মিলন মৃত্যুর ঘটনায় দুই ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার আবেদনের আংশিক শুনানি হয়েছে।বুধবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামানের আদালতে এই শুনানি হয়৷
এরপর মামলাটির অধিকতর শুনানির জন্য আগামী ১৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত৷ এদিন নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ এর অধীন মামলার আবেদন করেন মিলনের চাচা বি এম অলি উল্লাহ।আদালতে বাদীপক্ষের শুনানি করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার। এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এজলাস কক্ষে উপস্থিত ছিলেন৷
আবেদনে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন শাহবাগ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (ওসি) আবুল হাসান, রমনা থানার তৎকালীন পরিদর্শক (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম, শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার রায়, সাইদুর রহমান, অমল কৃষ্ণ ও শাহরিয়ার রেজা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ও সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সমনে মানবন্ধন শেষে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিল মৎস্যভবনের কাছে পৌঁছালে ভিকটিম জাকির হোসেন মিলন সভাপতি, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তর এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তেজগাঁও থানা ছাত্রদলসহ কয়েকজনকে রমনা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে এবং পরে শাহবাগ থানায় নিয়ে সেখানেও নির্যাতন করা হয়।
গত ৮ মার্চ তারিখে চিফ মেট্ট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন পূর্বক রিমান্ড মঞ্জুর করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানায় নিয়ে আবার নির্যাতন করে গুরুত্বর অবস্থায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে জেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে মিলনের মৃত্যু হয়।