আওয়ামী লীগবাংলাদেশমানিকগঞ্জরাজনীতি

শেখ হাসিনা যদি না থাকে, তাহলে অবস্থাটা কী হবে একটু ভেবে দেখেন

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন ফরাজী বলেছেন, আগামী নির্বাচনে যদি শেখ হাসিনার সরকার না থাকে, তাহলে প্রথম রাতেই কমপক্ষে ৩ লাখ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী হত্যার শিকার হবেন।

তাই দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি আজ রাজাকার, আল-বদরদের ‘নারায়ে তাকবীর’ স্লোগান দেয়। তারা এই দেশটাকে পাকিস্তান বানাতে চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের একজন নেতা-কর্মী বেঁচে থাকতে তাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না।

শাহাবুদ্দিন ফরাজী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি না থাকে, তাহলে অবস্থাটা কী হবে একটু ভেবে দেখেন। আবারও যদি রাজাকারের দল ক্ষমতায় আসে, তাহলে প্রথম রাতেই কমপক্ষে আওয়ামী লীগের ৩ লাখ নেতাকর্মী মারা যাবে। কাজেই নিজেদের মধ্যে কাদা-ছোড়াছুড়ি বাদ দিতে হবে।

তিনি বলেন, নেতা-কর্মীরা যদি এক ও অভিন্ন থাকে তাহলে বাংলাদেশে এমন কোনো রাজনৈতিক শক্তি নাই, যারা আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমি কী পেলাম আর কী পেলাম না সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো শেখ হাসিনাকে আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবার এই দেশে সরকার গঠন করবে এটাই আমাদের শপথ।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মির্জা আজম। তিনি বলেন,আওয়ামী লীগকে পরাস্ত করবে এমন কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা এমন কোনো শক্তি বাংলাদেশে নেই। তাই আমাদের রাজপথের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

আগামী নির্বাচনে জনগণের রায় নিয়েই আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে ‘ইনশাল্লাহ’। মির্জা আজম বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ নিরাপদে ও শান্তিতে থাকে। আওয়ামী লীগ বটগাছের মতো দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ছায়া দিচ্ছে।

আট বছর পর মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আবদুল আলীম ওরফে মিন্টু এবং এবং সাধারণ সম্পাদক পদে হামিদুর রহমান নির্বাচিত হন।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন। সম্মেলনের প্রথম পর্বে দলের সাংগঠনিক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এবং প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি আবদুল মজিদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান প্রমুখ।

বিকেলের দিকে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে চারজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আটজন প্রার্থী ছিলেন। তাদের নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম উত্থাপনের নির্দেশনা দেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। তবে সমঝোতা না হওয়ায় উপস্থিত জ্যেষ্ঠ নেতাদের সম্মতিতে সভাপতি পদে আবদুল আলিম ও সাধারণ সম্পাদক পদে হামিদুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button