এক্সক্লুসিভখুলনাবাংলাদেশবিএনপিরাজনীতি

খুলনায় গণসমাবেশ থেকে ফেরার পথে নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা,মারধর

বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম বলেছেন, খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগদান ও ফেরার পথে নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা, মারধরের পর নগদ টাকা, মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

অনিন্দ্য ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, নড়াইল, কুষ্টিয়া ও বাগেরহাটে আওয়ামী লীগের লোকজন রীতিমতো তাণ্ডব চলিয়েছেন। খুলনার ফুলতলা উপজেলার নেতা–কর্মীদের ওপরে যে হামলা হয়েছে, তা শিউরে ওঠার মতো।দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খুলনার পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটর করছেন। আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

পাঁচটি ট্রলারযোগে নেতা–কর্মীরা খুলনার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় পৌঁছানোর আগে তাঁদের প্রতিহত করতে শটগানের গুলি ছোড়া হয়। ডুবিয়ে দেওয়া হয় নেতা–কর্মী বহনকারী ট্রলার। প্রাণ বাঁচাতে কর্মীরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হন। খুলনার দৌলতপুর ও খালিশপুরে বিএনপির দুটো কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলামের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি এবং কম্পিউটারসহ অনেক কিছু লুট করা হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে নগরের কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি খুলনা বিভাগের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অনিন্দ্য ইসলাম এসব কথা বলেন। বিএনপির গণসমাবেশ পণ্ড করতে বিভাগজুড়ে গণগ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়েছে দাবি করে অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, গণগ্রেপ্তার অভিযানে বিএনপির ২৫০ জন কারাবন্দী হয়েছেন।

হামলায় পাঁচ শতাধিক নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। চারটি মামলায় সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে শোনা যাচ্ছে। বিভাগের ১১টি সাংগঠনিক ইউনিটের সব জায়গায় হামলা, নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম বলেন, খুলনার গণসমাবেশ বানচালে আওয়ামী লীগের নিকৃষ্ট ফ্যাসিবাদী চেহারা মিডিয়ার মাধ্যমে জাতির সামনে আবারও উন্মোচিত হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়মিত মনিটরিং করছেন।

তাঁর নির্দেশে আহত ব্যক্তিদের দেখতে হাসপাতালে এবং হামলার শিকার ঘরবাড়িতে যাওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত কর্মীর সঙ্গে তারেক রহমান নিজে কথা বলেছেন এবং তাঁদের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেন, ‘গত কয়দিন খুলনা বিভাগজুড়ে যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে মনে হচ্ছে, আমরা প্যালেস্টাইনের জনগণ। আর তাঁরা ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী। বিএনপির কর্মসূচি ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। কোনো উসকানি আমরা দিইনি। কিন্তু তারা হামলা করেছে। কুপিয়ে জখম করেছে। মোংলায় ট্রলার ডুবিয়ে দিয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম সূচনা বক্তব্য দেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান সমাপনী বক্তব্য দেন। এ সময় নগর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনিরুল হাসান, নগরের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা স ম আবদুর রহমান, কাজী মাহমুদ আলী, বদরুল আনাম খান, শেখ তৈয়েবুর রহমান, মাহবুব হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button