বরিশালবিএনপিভোলারাজনীতি

হঠাৎ বরিশাল-ভোলা রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল নদীবন্দর থেকে ভোলার উদ্দেশে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। ভোলা থেকেও কোনো লঞ্চ ছেড়ে আসেনি।পূর্বঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ বরিশাল-ভোলা রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ আছে।বরিশাল নৌবন্দরসংলগ্ন ডিসি ঘাট থেকেও ভোলাগামী কোনো স্পিডবোট চলছে না। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বরিশাল-ভোলা রুটে যাতায়াতাকারী নিয়মিত যাত্রীরা।

সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ভোলা-বরিশাল নৌ রুটে যাত্রীবাহী স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকেরা। ভোলার স্পিডবোট ঘাটের দায়িত্বে থাকা মঞ্জুরুল আলম বলেন, ধর্মঘট ডাকা হয়েছে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। কী কারণে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব না দিয়ে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান।

বরিশাল স্পিডবোট ঘাটের লাইন ইনচার্জ মো. লিটন মিয়া বলেন, বরিশাল থেকে স্পিডবোট চলাচলে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। ভোলা থেকে বন্ধ করা হয়েছে, তাই এ রুটে বোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ভোলা থেকে বোট বন্ধের কোনো কারণ তাঁদের জানানো হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

হঠাৎ লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠনগুলো সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ দেখাতে পারেনি। তবে বিএনপির নেতাদের দাবি, ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করেই নৌযানগুলো বন্ধ করা হয়েছে।

এদিকে ৪ থেকে ৫ নভেম্বর বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাস মালিকদের সংগঠন বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপ। নির্দিষ্ট ওই দুই দিন সব ধরনের তিন চাকার যানেরও ধর্মঘট ডেকেছে বরিশাল জেলা মিশুক, বেবিট্যাক্সি, ট্যাক্সিকার ও সিএনজিচালক শ্রমিক ইউনিয়ন। এর আগে একই কায়দায় খুলনা ও ময়মনসিংহে বিএনপির গণসমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়।

কোনো ঘোষণা ছাড়াই নৌপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। আসিফ হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, দুই দিন আগে তিনি পারিবারিক কাজে ভোলা থেকে বরিশালে এসেছিলেন। আজ সকালে ভোলায় ফিরে যাওয়ার জন্য তিনি লঞ্চঘাটে গিয়ে জানতে পারেন, ভোলায় কোনো লঞ্চ যাচ্ছে না। এরপর স্পিডবোট ঘাটে গিয়ে দেখেন, সেখানেও ধর্মঘট চলছে।

ধর্মঘটের বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হাসেম বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কোনো ধরনের ধর্মঘট আমরা ডাকিনি। গতকাল ভোলায় ক্ষমতাসীন দলের লোকজন একটি লঞ্চে হামলা ও স্টাফদের মারধর করেন। এ জন্য দুই প্রান্ত থেকেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।’

বরিশালের বিএনপির নেতাদের দাবি, ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে বানচাল করতে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান বলেন, ‘বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করার জন্য ক্ষমতাসীন দল এমন কোনো পন্থা নেই, যা অবলম্বন করেনি। অন্য সব বিভাগের চেয়ে এই বিভাগেরটা বানচালে যেন তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে।

বাস, তিন চাকার যান, লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ করেছে। আবাসিক হোটেলে তল্লাশি, রাজপথে মহড়া, হুমকি, মারধর, হামলা—সবকিছুই সমানতালে চালাচ্ছে। এটা সমাবেশের আগের দুই দিনে আরও বাড়বে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। কিন্তু কোনো কিছুতেই বরিশালের গণসমাবেশে জনস্রোত ঠেকানো যাবে না। প্রয়োজনে নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে, সাইকেলে, ট্রলার ও নৌকায় চেপে আসবেন।’

ধর্মঘটের বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল বিভাগীয় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হাসেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কোনো ধরনের ধর্মঘট আমরা ডাকিনি। গতকাল ভোলায় ক্ষমতাসীন দলের লোকজন একটি লঞ্চে হামলা ও স্টাফদের মারধর করেন। এ জন্য দুই প্রান্ত থেকেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।’

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button