দেশে হত্যা, সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মূল হোতা বিএনপি:ওবায়দুল কাদের
আজ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে হত্যা, সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মূল হোতা বিএনপি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে তাঁরা চেতনায় লালন করেন, পালন করেন। এ জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ও হত্যার রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। তাঁদের সেই লড়াই চলছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ দেশে হত্যার যে রাজনীতি, তার প্রধান হোতা হচ্ছে বিএনপি। তারাই বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা ও ২১ আগস্টে গ্রেনেড মেরে নেতা-কর্মীদের হত্যাকারী।’
জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস করার দাবি–সম্পর্কিত সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস করার ব্যাপারটি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়।
গত ৩১ অক্টোবর সোহেল তাজ জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস করার দাবিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি তিন দফা দাবি জানিয়েছিলেন।অন্য দুটি দাবি হলো—১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার গঠনের দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনীসহ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক-সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা করে নিঃসঙ্গ করে দেওয়াই ছিল ঘাতকদের লক্ষ্য। সেদিন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছিলেন বিদেশে।
৩ নভেম্বর জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা ছিল ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা। এই হত্যার অপরাজনীতির ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৩টি তাজা প্রাণ ঝরে যায়। হামলাকারীদের প্রধান টার্গেট ছিল তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।