আওয়ামী লীগএক্সক্লুসিভচুয়াডাঙ্গাজাতীয়বাংলাদেশবিএনপিরাজনীতি

যদি ১০ই ডিসেম্বর বিএনপি কিছু করতে চায়, হেফাজতের মত অবস্থা হবে

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘হেফাজতও এমন কথা বলেছিল, শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়েছিল। সারা জাতি টেলিভিশনের দিকে তাকিয়ে ছিল। রাত বোধ হয় পোহাবে না। রাতের মধ্যেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে।

খালেদা জিয়াও খুশিতে আত্মহারা হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বলেছিলেন যে শাপলা চত্বরে গিয়ে হেফাজতের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য। এরশাদ সাহেব ফ্রিজ থেকে পানি বের করে হেফাজত নেতাদের পান করাচ্ছিলেন। কিন্তু আমরা কী দেখলাম? রাত আড়াইটা-তিনটার দিকে শাপলা চত্বর পরিষ্কার হয়ে গেছে।

যদি ১০ই ডিসেম্বর এ রকম কিছু করতে চায়, ওই রকম পরিষ্কার হয়ে যাবে।’ মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হৈবতপুরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সংগ্রহশালা ও  ধান কাটা কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী দল। আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক অনেক গভীরে। ইচ্ছা করলেই ১০ই ডিসেম্বর মহাসমাবেশ করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না।

এ অনুষ্ঠান ছাড়াও কৃষিমন্ত্রী কৃষি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দত্তনগর কৃষি খামার পরিদর্শন এবং জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুরে কৃষক জাহিরুল ইসলামের গ্রীষ্মকালীন পিয়াজের ক্ষেত, সদর উপজেলার রাঙ্গিয়ারপোতায় দেশের প্রথম বাণিজ্যিক আনার বাগান পরিদর্শন, দামুড়হুদার ইব্রাহিমপুর মেহেরুন্নেছা পার্কে নবান্ন উৎসব, কৃষি প্রযুক্তি মেলা ও কৃষক সমাবেশ, কৃষকদের মধ্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ ও   আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্রে  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এবার প্রচুর পরিমাণে আমন ধান উৎপাদন হয়েছে।ফলে দুর্ভিক্ষের কোনো শঙ্কা নেই। দেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে। কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না, খাদ্যসংকট হবে না। তবে ইউক্রেনের যুদ্ধ চলমান থাকলে মানুষের একটু কষ্ট হতে পারে।

রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের বড় রপ্তানিকারক দেশ। তাদের যুদ্ধের প্রভাব হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে বারবার সতর্ক করছেন। বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাস হিসেবে আমাদের সতর্ক হতে হবে।’ এ সময় চুয়াডাঙ্গার কৃষি খাত সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, চুয়াডাঙ্গার কৃষি হবে বাংলাদেশের মডেল। আধুনিক, উন্নত এবং কৃষকের জন্য লাভজনক কৃষি হলো অর্থকরী কৃষি। ফলমূল, শাকসবজিতে বিপ্লব ঘটবে চুয়াডাঙ্গায়।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button