আওয়ামী লীগএক্সক্লুসিভজাতীয়বাংলাদেশবিএনপিরাজনীতি

সমাবেশের নামে বাড়াবাড়ি করলে পেন্ডিং থাকা উত্তম-মাধ্যম শুরু হয়ে যাবে

১০ ডিসেম্বর নিয়ে রাজধানীবাসীকে আশ্বস্ত করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আপনাদের জন্য পাহারায় আমরা রয়েছি। ঢাকাবাসীর জন্য আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পাহারা দেবে। ওরা যদি কোনো জায়গায় হাত দেয়, সেই হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তির সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও নেত্রীর নির্দেশে ৬ ডিসেম্বর সম্মেলন করা হয়েছে। নেত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন- সম্মেলন শেষ হলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ-ডেকোরেশন কোনোকিছুই থাকতে পারবে না।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা সব অবকাঠামো সরিয়ে নিয়েছি। কিন্তু চোরেরা না শুনে ধর্মের কাহিনি- বিএনপি’র গাত্রদাহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। কারণ ওই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের পূর্বপুরুষ পাকিস্তানিরা বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। ওই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের গাত্রদাহ কারণ- ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে বাংলার স্বাধীনতার জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।

নানক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘ওদের একটি মাইর ‘পেন্ডিং’ আছে। ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের খুন করেছে, হাত-পা কেটেছে, চোখ উপড়ে ফেলেছে, বাড়িঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। কিন্তু নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছিল- কোনো গোলোযোগ করা যাবে না। আমরা সেদিন কোনো প্রতিশোধ নিইনি। সেই মাইরটা কিন্তু ‘পেন্ডিং’ রয়েছে। সমাবেশের নামে কেউ বেশি বাড়াবাড়ি করলে সেই পেন্ডিং থাকা উত্তম-মাধ্যম কিন্তু শুরু হয়ে যাবে।’’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফির সভাপতিত্বে শান্তির সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button