বসতবাড়িতে আগুনে পুড়ে দাদি-নাতনির মৃত্যু
গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া আট নম্বর ওয়ার্ড আনছার ব্যাপারী পাড়ার রোকমান মোল্লার ছেলে ঠাণ্ডু মোল্লার বাড়িতে বৈদ্যুতিক শটসার্কিটের কারণে বসতবাড়িতে আগুন লেগে আগুনে পুড়ে দাদি-নাতনির মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ফজলুল হক বেপারি জানান, মৃতরা হলেন দৌলতদিয়া ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের আনছার বেপারীর পাড়া গ্রামের মো: রমজান মোল্লার মেয়ে তাসমিয়া (৭) ও তার দাদি বরু বেগম (৯০)। এ সময় তাদের দুটি বসত ঘরসহ মূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ধারণা কার হচ্ছে, রমজান মোল্লার বসতঘরের বারান্দার রুমে থাকা ফ্যানে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে করে তাদের দুটি চৌচালা টিনসেড ঘর, ঘরে থাকা আসবাব পত্র ও আনুষঙ্গিক জিনিষপত্র এবং একটি রান্নাঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে তার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় বরু বেগম প্যারালাইসিস আক্রান্ত হওয়ায় শরীরের অর্ধাংশ অকেজো ছিল। অগ্নিকাণ্ডের সময় তিনি বেরিয়ে আসতে না পারায় পুড়ে মারা যান। এ ছাড়া নিহত শিশু তাসমিয়ার মা তাকে ও কোলের শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন টের পেয়ে তিনি কোলের সন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে আসতে পারলেও ঘুমন্ত তাসমিয়া আগুনে পুড়ে মারা যায়।
গোয়ালন্দ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার সাবেকুল ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। প্রায় এক ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হই। এ সময় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া এক বৃদ্ধা মহিলা ও শিশুকন্যার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ওই বাড়ির বারান্দার রুমের ফ্যানের সংযোগ তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে ঐ বাড়ির ঘর ও আসবাবপত্রসহ ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা চেয়াম্যান মোস্তফা মুন্সি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দান করেন এবং লাশ দুটিকে তাৎক্ষণিক দাফনের ব্যবস্থা করেন।